এবার তাঁর বোলিং

বিকেএসপিতে নিজেদের আগের ম্যাচে আল আমিন জুনিয়র খেলাঘরের বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ১০৬ রানের ইনিংস। একই দিন পাশের মাঠে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে তামিম ইকবাল করলেন ১৫৭। আল আমিনের টিপ্পনী, ‘আজ (মঙ্গলবার) নিশ্চয়ই তামিম ভাইকে নিয়ে লিখবেন!’
তামিম যে ইনিংসটা খেলেছেন সব আলো তাঁর দিকে যাবে, সেটাই স্বাভাবিক। ঘটনাচক্রে সেই তামিমদের বিপক্ষে কাল ফতুল্লায় সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নিলেন প্রাইম ব্যাংকের অলরাউন্ডার। তবে এদিন ব্যাটিংয়ে নয়, তিনি জ্বলে উঠেছেন অফ স্পিন বোলিংয়ে।
ব্যাটিং-বোলিং দুটিতেই যে আল আমিন দ্যুতি ছড়াতে পারেন, সেটা দেখেছে গত প্রিমিয়ার লিগ। ভিক্টোরিয়ার হয়ে ১৬ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ৭ ফিফটিতে করেছিলেন ৬৭২ রান, উইকেট নিয়েছিলেন ১৬টি। ফতুল্লাতেই গাজী গ্রুপের সঙ্গে ২৭ রানে ৫ উইকেট গত প্রিমিয়ার লিগে তাঁর সেরা বোলিং। আল আমিন এবারও এগোচ্ছেন ধারাবাহিকতার প্রতিমূর্তি হয়ে। প্রাইম ব্যাংকের পর পর দুই ম্যাচের নায়কও তিনি—একটিতে হয়েছেন সেঞ্চুরি করে, পরেরটিতে ৫ উইকেট নিয়ে।
মোহামেডানের বিপক্ষে অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলামকে বসিয়ে জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার আল আমিনকে খেলিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। আল আমিনের কাঁধে তাই পড়েছিল প্রাইম ব্যাংকের স্পিন বোলিংয়ের ভার। দলের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে ভীষণ খুশি প্রাইম ব্যাংকের ২৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার, ‘গতবার ব্যাটিং-বোলিং দুটিই ভালো হয়েছে। এবার প্রথম দুই ম্যাচে নিজের প্রত্যাশা অনুযায়ী বোলিং করতে পারিনি। আজ (কাল) একজন অফ স্পিনার কম খেলায় একটু বেশি সিরিয়াস ছিলাম। যখনই যে সুযোগ পাই, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।’
তবে কাল আল আমিনের সাফল্যের পেছনে বৃষ্টিরও অবদান আছে। বৃষ্টির বাধায় খেলা দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার আগে মোহামেডানের রান ১৯ ওভারে ২ উইকেটে ৬৭। বৃষ্টির পর ৭৫ রানের মধ্যে শেষ ৮ উইকেট হারিয়ে মোহামেডান অলআউট ১৪২ রানে। ‘উইকেট অতটা সহজ ছিল না। তবে আমাদের পেস বোলাররা যখন ভালো বোলিং করেছে, ওরা সেটা সামলেছে। কিন্তু বৃষ্টির পর স্পিন একটু ধরছিল। কিন্তু আমার মনে হয় ওরা বেশি তাড়াহুড়া করেছে’—কাল সন্ধ্যায় জুরাইনে নিজ বাসায় মুঠোফোনে বলছিলেন আল আমিন।
এবার প্রিমিয়ার লিগে শুরুটা ভালো হয়েছে, আল আমিনের লক্ষ্য ছন্দটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা।