ভারতকে হারাবে, ট্রফিও জিতবে পাকিস্তান!

লেগে গেল শোয়েব-দ্রাবিড়ের! ২০০৪ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ছবি
লেগে গেল শোয়েব-দ্রাবিড়ের! ২০০৪ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ছবি

ওয়ানডেতে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ঢের এগিয়ে পাকিস্তান। ১২৭ ম্যাচের ৫১টি জিতেছে ভারত, পাকিস্তান ৭২টি। কিন্তু খেলাটা টুর্নামেন্টে হলেই যেন পাকিস্তান আর চাপ নিতে পারে না। অন্তত ভারতের সমর্থকেরা বিশ্বকাপের উদাহরণ বারবার টেনে আনে। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। ছয় ম্যাচের একটিতেও জেতেনি।

এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও না। সেখানে ৫ ম্যাচের চারটি ভারত জিতেছে, অন্য ম্যাচটি হয়েছে টাই।
পাকিস্তানের আশার জায়গা একটাই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আইসিসির এই একটা প্রতিযোগিতায় ভারতকে তারা হারাতে পেরেছে। শুধু তা-ই নয়, সেখানে ২-১ ব্যবধানে এগিয়েও আছে। সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল হক আশাবাদী, আবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে হারাবে পাকিস্তান। জিতবে ট্রফিটাও।
৪ জুন এজবাস্টনে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। ফলে এ নিয়ে এখন থেকেই একটা উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়ছে। ভারত-পাকিস্তান লড়াই যে ক্রিকেটের ‌‌‌‘এল ক্লাসিকো’! অবশ্য পিসিবির প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা ইনজি বলেছেন, ‘আমরা তো ইংল্যান্ডে কেবল ভারতকে হারানোর জন্য যাইনি। আমাদের মূল লক্ষ্য হবে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা।’
মজার ব্যাপার হলো, ভারতকে আইসিসির কোনো আয়োজনে পাকিস্তান প্রথম হারানোর স্বাদ পেয়েছিল একই ভেন্যুতে। ২০০৪ সালে এজবাস্টনের সেই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন ইনজামাম। শোয়েব আখতার ও নাভিদ-উল হাসানের বোলিং তোপে ২০০ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল সৌরভ গাঙ্গুলির ভারত। ইরফান পাঠানের বোলিংয়ে ভারত সেই ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত হেরেছে ৩ উইকেটে। তবে ম্যাচটা গড়িয়েছিল শেষ ওভার পর্যন্ত। ৪ বল বাকি ছিল।
ভারত-পাকিস্তানের লো স্কোরিং ম্যাচও এমন রোমাঞ্চ দিতে পারে। ইনজামামেরও বেশ মনে আছে সেদিনের ম্যাচটি। ইরফান টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানকে ২৭/৩ বানানোর পর সেদিনের ইউসুফ ইউহানাকে নিয়ে প্রতিরোধটা ইনজিই গড়েছিলেন।
সেই একই মাঠে খেলা। এবার ফলও একই হবে বলেই ইনজির ভবিষ্যদ্বাণী, ‘আমরা আবারও জিততেই পারি।’ সূত্র: ডন।