'ব্যাটের গ্রিপ' স্পট ফিক্সিংয়ের নির্দেশনা !

ব্যাটের গ্রিপ পাল্টেই খালিদ লতিফ জানিয়েছিলেন তিনি স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে রাজি! ফাইল ছবি।
ব্যাটের গ্রিপ পাল্টেই খালিদ লতিফ জানিয়েছিলেন তিনি স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে রাজি! ফাইল ছবি।

ব্যাটের একটি গ্রিপই হতে পারে স্পট ফিক্সিংয়ে কোনো ক্রিকেটার ‘রাজি’ কি না, তার নির্দেশনা। এ বছরের শুরুতে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) জুয়াড়িরা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান খালিদ লতিফকে ব্যাটের একটি গ্রিপ দিয়ে বলেছিল লতিফ তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী স্পট ফিক্সিংয়ে রাজি হলে ম্যাচে তাঁর ব্যাটে যেন সেই গ্রিপটি ব্যবহার করেন।

২০১৩ সালে আইপিএলের স্পট ফিক্সিং-কাণ্ডে ভারতীয় পেসার শান্তাকুমারন শ্রীশান্ত জুয়াড়িদের প্রস্তাবে রাজি হতে ব্যবহার করেছিলেন একটি সাদা রুমাল। শুক্রবার লাহোরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, লতিফের ক্রিকেট সরঞ্জামাদির ব্যাগ থেকে তারা ব্যাটের সেই গ্রিপটি জব্দ করেছেন। পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে বর্তমানে লতিফের বিচার চলছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এই টি-টোয়েন্টি লিগের শুরুতেই জুয়াড়িদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার অভিযোগে বহিষ্কৃত হন ৩১ বছর বয়সী লতিফ।
পিসিবি নির্ধারিত তিন সদস্যের বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এই মুহূর্তে চলছে লতিফের বিচার। অভিযোগ উঠেছে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের এই ওপেনিং ব্যাটসম্যানকে জুয়াড়িরা দুইবার স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিলেও তিনি দুর্নীতি দমন সংস্থাকে জানাননি। পাশাপাশি জুয়াড়িদের প্রস্তাবে রাজি হয়ে অন্য ক্রিকেটারদেরও স্পট ফিক্সিংয়ে উৎসাহিত করেছিলেন।

পিসিবির কৌঁসুলি তোফাজ্জল রিজভী জানিয়েছেন, ‘খালিদ লতিফের কিট ব্যাগ থেকে জুয়াড়িদের দেওয়া ব্যাটের একটি গ্রিপ জব্দ করা হয়েছে। গ্রিপটি ব্যাটে লাগানো ছিল। এই গ্রিপটি লতিফের বিপক্ষে অভিযোগের স্বপক্ষে বড় আলামত।’
পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আলাদা আলাদা বিচার হচ্ছে তিন ক্রিকেটার খালিদ লতিফ, শারজিল খান ও শাহজাইব হাসানের। পেসার মোহাম্মদ ইরফান ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পরেও সেটা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানানো। দোষ স্বীকার করায় তাদের আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। পিএসএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা হিসেবে নাসির জামশেদকে সন্দেহ করা হলেও তার বিচার এখনো শুরু হয়নি।
ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছর থেকে শুরু করে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তারা। সূত্র: দ্য ডন।