২১ মাসের জেলই থাকছে মেসির

.
.

বার্সেলোনার আদালত শাস্তিটা ঘোষণা করেছিলেন গত বছরের জুলাইয়ে। কর ফাঁকির দায়ে পাওয়া সেই শাস্তির বিরুদ্ধে এক মাস আগে আপিল করেছিলেন লিওনেল মেসি, কিন্তু তাতেও লাভ হলো না। গতকাল স্পেনের সুপ্রিম কোর্ট মেসির সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। ২১ মাসের জেলের স্থগিত শাস্তিটা তাই বহালই থাকছে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের। সঙ্গে ২০ লাখ ইউরো জরিমানাও।
তবে শাস্তির আগে ‘স্থগিত’ শব্দটাই মেসি-ভক্তদের স্বস্তি দেবে। এর মানে, কারাদণ্ড হলেও ৩০ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডকে জেল খাটতে হবে না। স্পেনের আইন অনুযায়ী প্রথম অপরাধের ক্ষেত্রে, অপরাধটা যদি অহিংস হয় এবং শাস্তি হয় দুই বছরের কম, তাহলে জেলে যেতে হয় না। শাস্তিটা স্থগিত থাকে, একই অপরাধ আবার করলে তখন জেলে যেতে হবে।
মেসির না কমলেও তাঁর বাবা হোর্হে মেসির শাস্তি কিছুটা কমেছে। বার্সেলোনার আদালত জুলাইয়ে তাঁকেও ২১ মাসের জেলের স্থগিত সাজা দিয়েছিলেন, কাল সুপ্রিম কোর্ট সেটি কমিয়ে করেছেন ১৫ মাস। তবে জরিমানার অঙ্কটা আগের মতোই থাকছে মেসির বাবার—১৫ লাখ ইউরো।
মামলাটা অনেক দিন ধরেই ঝুলছিল আর্জেন্টিনা অধিনায়কের ঘাড়ে। মেসি ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ, উরুগুয়ে ও বেলিজে কয়েকটি বেনামি কোম্পানির নাম করে ইমেজ স্বত্ব থেকে পাওয়া আয় লুকিয়েছেন। ২০০৭ থেকে ২০০৯—এই তিন বছরে স্প্যানিশ কর কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়েছেন প্রায় ৪২ লাখ ইউরো। মেসি অবশ্য সব সময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করে এসেছেন। বলেছেন, তিনি শুধু খেলাতেই মনোযোগ দিয়েছেন, আর্থিক দিকগুলো তাঁর বাবা ও আইনজীবীই দেখতেন। ২০১৩ সালে সুদসহ বকেয়া করের জন্য ৫০ লাখ ইউরো পরিশোধও করেছেন। আর তাঁর বাবার হোর্হে মেসি দাবি করতেন, তাঁকে নাকি এক আইনজীবী বলেছিলেন উরুগুয়ে ও বেলিজে ওসব কোম্পানি চালু করা মোটেই আইনবিরুদ্ধ নয়।
তবে প্রথমে বার্সেলোনার আদালত, আর এখন স্প্যানিশ সুপ্রিম কোর্টে কোনো দাবিই যে গ্রহণযোগ্য হয়নি, সেটি তো গতকালের রায়ই বলে দিল। ডেইলি মেইল।