কোথায় যাচ্ছেন রুনি?

উৎসে ফিরছেন ওয়েইন রুনি?
উৎসে ফিরছেন ওয়েইন রুনি?

চলে যাবেন। বলা ভালো তাঁকে চলে যেতে হচ্ছে। ওয়েইন রুনিকে একসময় মনে করা হতো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসিদের কাতারের। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। কিন্তু বর্তমান কোচ হোসে মরিনহোর পরিকল্পনায় তাঁর জায়গা নেই। কীভাবে আর থাকবেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে!
সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন প্রিমিয়ার লিগে। এর মধ্যে ১৫টিতে নেমেছেন শুরুর একাদশে। নয়বার বদলি হয়ে উঠে গেছেন। পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন মাত্র ৬টি ম্যাচে। ইউনাইটেডে তাঁর অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে জাতীয় দলের ক্যারিয়ারেও। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। অথচ ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটের দেওয়া সর্বশেষ ইংল্যান্ড দলে নেই রুনি।
সব মিলিয়ে রুনির ইউনাইটেড ছাড়ার সময় সত্যিই এসে গেছে। এবারের দলবদলে তাঁর নতুন ঠিকানা খুঁজে নেওয়ার বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত। কোথায় হবে রুনির নতুন ঠিকানা? চীনের ফুটবল থলেভর্তি টাকা নিয়ে ডাকছে। যদ্দুর জানা গেছে, ৫০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুটি প্রস্তাব আছে ইউনাইটেডের অধিনায়কের। টাকার টানে রুনি কি দূরপ্রাচ্যে পাড়ি জমাবেন?
ম্যানচেস্টার শহর থেকে ৩১ মাইলের দূরের ক্লাব এভারটন থেকেও প্রস্তাব আসতে যাচ্ছে রুনির। যেটি তাঁর সাবেক ক্লাব। শৈশবের এই ক্লাবটি থেকে ২০০৪ সালে ২৫.৬ মিলিয়ন ট্রান্সফার ফিতে ইউনাইটেডে নাম লিখিয়েছিলেন রুনি। ২০ বছরের নিচের কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এটি ছিল ট্রান্সফার ফির রেকর্ড। রুনির বয়স ছিল তখন ১৮ বছর। শৈশবের ক্লাবটি তাঁকে যদি আবার দলে টানেও চীনাদের মতো থলেভরা টাকা দিতে পারবে না। গুঞ্জন এমন, চীনে গেলে তাঁর সাপ্তাহিক বেতন হবে ৪ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি রুনিকে সপ্তাহে দেড় লাখ পাউন্ড বেতনের প্রস্তাব দেবে। ইউনাইটেডের থেকে যেটা এক লাখ পাউন্ড কম।
এক দিকে চীনের অর্থ, আরেক দিকে ছোটবেলার ক্লাবে ফেরার আবেগ—কোনটিকে বেছে নেবেন রুনি? মনের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব চলারই কথা। রুনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। অর্থ আর আবেগ ছাড়াও একটি বিষয় বেরিয়ে এসেছে তাতে। চীনে পাড়ি জমালে ইংল্যান্ডের হয়ে আবার মাঠে নামার স্বপ্ন, যেটা আসলে আরেকটি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন, সেটির হয়তো মৃত্যু হবে। সবকিছু হিসাব করে তাই ইউনাইটেডের সঙ্গে ১৩ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলে আবার এভারটনের সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধতে হবে রুনিকে, ‘আমাকে আসলে ফুটবলের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি এটাই করব। আমি শুধু দুটি ক্লাবের হয়ে খেলেছি। প্রিমিয়ার লিগে আমি এ দুটি ক্লাবের হয়েই খেলব।’ মেইল অনলাইন।