'নাসির কার জায়গায় খেলবে?'

নাসির নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে। ছবি: প্রথম আলো
নাসির নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে। ছবি: প্রথম আলো

ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে ছয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ‘যেকোনো দলকে হারাতে পারি’—এমন আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দলটায়। বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে ‘বড়’ দল হয়ে উঠছে, গত দুই-তিন বছরে দেশ-বিদেশে দলের পারফরম্যান্স দেখলেই ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। একাদশের প্রতিটি জায়গায় এখন ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বললেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এতটাই যে নাসির হোসেনের মতো পরীক্ষিত অলরাউন্ডার সুযোগ পাচ্ছেন না দলে।
২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার পর সাত মাস পর নাসির বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন গত এপ্রিলে। তবে তাঁকে রাখা হয় শুধু আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্কোয়াডে। এই সিরিজে একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন নাসির। ডাবলিনের ক্লনটার্ফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। এক ম্যাচের স্মৃতি নিয়ে নাসির ফিরেছেন দেশে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের মূল স্কোয়াডে যে রাখা হয়নি তাঁকে।
শুধু নাসির কেন, একাদশের প্রতিটি জায়গায় খেলোয়াড়দের যে একে অন্যের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে, সেটিই আজ সংবাদমাধ্যমকে বললেন নাজমুল হাসান, ‘লিটন দাস ভালো খেলে সুযোগ পাচ্ছে না। ইমরুল কায়েসের পর্যন্ত সুযোগ হচ্ছে না। বিজয় (এনামুল হক) সুযোগ পাচ্ছে না। রিয়াদকে (মাহমুদউল্লাহ) ভালো খেলতে হচ্ছে নিয়মিত। ওর জায়গায় খেলতে কমপক্ষে চারজন খেলোয়াড় প্রস্তুত। নাসিরের মতো খেলোয়াড়ের দলে সুযোগ পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সে কার জায়গায় খেলবে? (মেহেদী হাসান) মিরাজ বাংলাদেশের সেরা অফস্পিনার, সুযোগ পাচ্ছে না সে-ও।’
বিসিবি সভাপতির কাছে পুরো ব্যাপারটিই তৃপ্তির, তাঁর মতে, বাংলাদেশ দলের বর্তমান এই সাফল্যের নেপথ্যে আছে খেলোয়াড়দের এই সুস্থ প্রতিযোগিতা, ‘দলের প্রতিটি জায়গায় এই যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, পাইপলাইনে এখন অনেক খেলোয়াড়। নতুন ছেলেরা এসে পুরোনোদের সঙ্গে সমানতালে ভালো খেলছে, এটাই হচ্ছে আসল কারণ (সাফল্যের)।’