চোকার সবাই, দোষ হয় প্রোটিয়াদের!

চোকার সবাই, দোষ হয় প্রোটিয়াদের!
চোকার সবাই, দোষ হয় প্রোটিয়াদের!

কাল আরও একবার ‘চোকার’ উপাধি পাওয়ার যথার্থতা প্রমাণ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। হাতের মুঠোয় আসা ম্যাচেও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে বসেছে ২ রানে। বারবার কাছে গিয়েও হারের অভ্যাস তাদের অনেক পুরোনো। গতকালের মতো এত কম রানে হারের রেকর্ড যে কম নয় প্রোটিয়াদের। শুধু ২ রানেই এ নিয়ে তিনবার ম্যাচ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১ রানে ম্যাচ হেরেছে তারা ৪ বার! তবে মজার ব্যাপার, এভাবে তীরে এসে তরি ডোবানোতে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও এগিয়ে আছে বেশ কয়েকটি দল!

তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১ রানের জন্য হারার রেকর্ডে সবচেয়ে এগিয়ে ভিন্ন মানসিকতার দুই দল। পেশাদারি মনোভাবের অস্ট্রেলিয়া ও খেলাটাকে আনন্দের আশ্রয় হিসেবে নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ বার হেরেছে এমন সূক্ষ্মতম ব্যবধানে। বাংলাদেশকে কখনো এ দুঃখে পুড়তে হয়নি। তবে ২ রানে যেবার হেরেছে বাংলাদেশ, সেটাই কাঁদিয়েছে দলকে। সে ম্যাচটা যে ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনাল!

১০ রান বা এর কম রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি হেরেছে ইংল্যান্ড। ৩১ ওয়ানডেতে লক্ষ্য থেকে ১০ বা এর কম দূরত্বে থেমেছে ইংলিশরা। ২৮ বার হেরে দুইয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবশ্য গর্ব করতে পারে, মাত্র তিনবার এত কাছে গিয়েও হেরেছে বাংলাদেশ। অবশ্য এর উল্টো যুক্তিও দেখাতে পারেন কেউ কেউ; বাংলাদেশ পরাজয়ের দিনে লক্ষ্যের ধারে কাছে যেতে পারে না! দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে মোট ২০ বার। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তান ছাড়া আর সব দলেরই হারের সংখ্যা তাদের চেয়ে বেশি। কিন্তু বাকি দলগুলোর চেয়ে প্রোটিয়ারা প্রায় দেড় দশক পরে ওয়ানডে খেলা শুরু করেছে, এতেই বোঝা যায় চাপের মুখে ভেঙে পড়ার অভ্যাস তাদেরই একটু বেশি।

পরে বোলিংয়ে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থা একটু ভালো। শেষ বলে গিয়ে তারা মাত্র দুইবার ম্যাচ হেরেছে। দুর্ভাগ্যের এ দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড—দুই দলই ছয়বার শেষ বলে হেরেছে। বাংলাদেশও একবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ বলে হেরেছে।


তবু কেন দক্ষিণ আফ্রিকাকেই সবাই চোকার নামে চেনে? বড় ম্যাচ আর বড় টুর্নামেন্টে নিয়মিতই এ ঘটনা তারা ঘটায় বলেই হয়তো!