গেরো ছুটল ডর্টমুন্ডের

এক পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়েরই দুটি শট গোল হতে হতে হলো না। একটি ফিরল পোস্টে লেগে, আরেকটি বারে। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড তখন হয়তো আরেকবার খারাপ কিছুরই শঙ্কায় ছিল। আগের তিন মৌসুমেও যে জার্মান কাপের (ডিএফবি পোকাল) ফাইনালে রয়েস-অবামেয়াংদের হারতে হয়েছে!
তবে এবার গেরোটা ছুটল ডর্টমুন্ডের। ৬৭ মিনিটে তরুণ উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ান পিউলিসিচকে এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের গোলকিপার বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ডর্টমুন্ড, যা থেকে গোল করেন অবামেয়াং। শেষ পর্যন্ত সেটিই হয়ে গেল জয়সূচক গোল। ফ্রাঙ্কফুর্টকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড, বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে টানা চতুর্থবারে এসে শিরোপা হাতে উদ্যাপন করলেন রয়েস-অবামেয়াংরা।
রয়েসেরই খুশিটা বেশি হওয়ার কথা। আগের তিনটি কাপ ফাইনালেই ছিলেন, ছিলেন ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। কিন্তু ডর্টমুন্ডের জার্সিতে কিছুই জেতা হয়নি সময়ের অন্যতম সেরা এই উইঙ্গারের। অবশেষে ক্যারিয়ারের প্রথম বড় কোনো শিরোপা জিতলেন ২৭ বছর বয়সী জার্মান। এর আগে তাঁর ক্যারিয়ারে একমাত্র শিরোপা যে ২০০৭-০৮ মৌসুমে রট ভাইস আহলেনের হয়ে জার্মান চতুর্থ স্তর রেজিওনালিগার শিরোপা!
পরশু ৮ মিনিটে ডেমবেলের গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড, ২৯ মিনিটে রেবিচের গোলে সমতায় ফেরে ফ্রাঙ্কফুর্ট। এরপর অবামেয়াংয়ের ওই গোলে শিরোপা! যা ডর্টমুন্ডে কোচ টমাস টুখেলেরও প্রথম। জয়ের পর তাঁর অনুভূতি, ‘এ মুহূর্তে পুরো ফাঁকা লাগছে। আমাদের সেরা খেলাটা খেলিনি, তবে জিতেছি!’
একই রাতে ভাগ্য সহায় থাকায় পিএসজি জিতেছে ফ্রেঞ্চ কাপ। ১-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাঁজাকে। ৬০ বছর পর প্রথম ফ্রেঞ্চ কাপের ফাইনালে ওঠা অ্যাঁজার দুর্ভাগ্যই। পিএসজি গোলটা পেয়েছে ৯১ মিনিটে, তা-ও অ্যাঁজা ডিফেন্ডার ঈসা সিসোখোর আত্মঘাতী! বিবিসি।