রিয়াল-জুভের পক্ষে-বিপক্ষে

রিয়াল মাদ্রিদ না জুভেন্টাস, এবার ইউরোপের সেরা হবে কোন দল? চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল (৩ জুন) যত এগিয়ে আসছে, প্রশ্নটা তত জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। স্প্যানিশ ক্রীড়া দৈনিক মার্কা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দুই ক্লাবের পক্ষেই পেয়েছে অনেক পরিসংখ্যান আর যুক্তি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ যুগে প্রথম দল হিসেবে শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ রিয়ালের সামনে। ইউরোপে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার সর্বশেষ সৌভাগ্য হয়েছিল এসি মিলানের। ১৯৮৮-৮৯ ও ১৯৮৯-৯০ পরপর দুই মৌসুমে ইউরোপের সেরা হয়েছিল তারা। তখন টুর্নামেন্টটার নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ নাম হওয়ার পর মিলানের সামনেই প্রথম সুযোগ এসেছিল শিরোপা ধরে রাখার। কিন্তু ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন মিলান পরের মৌসুমেও ফাইনালে হেরে যায় আয়াক্সের কাছে। আয়াক্স আবার এর পরের মৌসুমে ফাইনালে হারে জুভেন্টাসের কাছে। পরের মৌসুমে জুভেন্টাস ফাইনালে হারে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে। রিয়ালের আগে সর্বশেষ এ সুযোগটা পেয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ২০০৭-০৮ ফাইনালে চেলসিকে হারানো ইউনাইটেড পরের মৌসুমের ফাইনালে হারে বার্সেলোনার কাছে। বোঝাই যাচ্ছে, ইতিহাস রিয়ালের পক্ষে নেই।
জুভেন্টাসেরও উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। রিয়ালের বিপক্ষে তারা সর্বশেষ ফাইনালে খেলেছিল ১৯ বছর আগে, ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমে। ওই মৌসুমেও সেমিফাইনালে মোনাকোকে হারিয়েছিল জুভরা, এবারও তাই। শুধু তা-ই নয়, আমস্টারডামের ওই ফাইনালে জুভেন্টাস খেলেছিল হোম জার্সি পরে। এবারও তারাই হোম জার্সি পরবে। সেবার রিয়াল জিতেছিল ১-০ গোলে। এবার কি হবে?
জুভেন্টাসের জন্য আশার কথাও আছে। চ্যাম্পিয়নস লিগে গত কয়েক দশকে প্রতি সাত বছর পরপর কোনো ইতালিয়ান ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসছে। ১৯৮৯ সালে মিলানের পর ১৯৯৬ সালে জুভেন্টাস। ২০০৩ সালে আবার মিলান, ২০১০ সালে ইন্টার মিলান। এই হিসাবে ২০১৭ সাল তো জুভেন্টাসেরই হওয়ার কথা। মার্কা।