৫ ওভারেনেই ৬ উইকেট!

অবশেষে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। কাল লর্ডসে আনুষ্ঠানিকতার শেষ ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রোটিয়ারা। প্রথম দুই ম্যাচে হেরেই সিরিজ খোয়ানো দক্ষিণ আফ্রিকা কাল ইংল্যান্ডকে অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড ‘উপহার’ দিয়েই জিতেছে ম্যাচটা।

গত কিছুদিনে ওয়ানডে ক্রিকেটে ‘৩০০’ নিয়ে ছেলেখেলা করা ইংল্যান্ড কাল প্রথম ৫ ওভারেই ২০ রানে হারায় ৬ উইকেট। ৪৬ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে এর আগে কোনো দল এত কম ওভারে প্রথম ৬ উইকেট হারায়নি। ইংল্যান্ড ভেঙেছে কানাডার রেকর্ড। ২০১৩ সালে হল্যান্ডের বিপক্ষে ৬.২ ওভারে প্রথম ৬ উইকেট হারিয়েছিল কানাডিয়ানরা।

জনি বেয়ারস্টো (৫১), ডেভিড উইলি (২৬) ও অভিষিক্ত টবি রোল্যান্ড-জোন্স (৩৭*) হাল ধরাতে ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ৩১.১ ওভারে অলআউট হয়েছে ১৫৩ রানে। রান তাড়ায় রেকর্ড গড়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলাও। ৫৫ রান করার পথে সবচেয়ে কম ইনিংসে ৭ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন আমলা। ৭ হাজার ছুঁতে প্রোটিয়া ওপেনারকে খেলতে হলো ১৫০ ইনিংস। পেছনে পড়লেন ভারতের বিরাট কোহলি (১৬১ ইনিংস)।

ইংল্যান্ডের ইনিংসের পঞ্চম বলে জেসন রয়কে স্লিপে আমলার ক্যাচ বানিয়ে ধসের সূচনা করেন কাগিসো রাবাদা। দ্বিতীয় ও চতুর্থ ওভারে ওয়েইন পারনেল জো রুট ও এউইন মরগানকে ফেরানোর পর পঞ্চম ওভারে ৩ উইকেট নেন রাবাদা।

এরপর সপ্তম উইকেটে বেয়ারস্টো-উইলির ৬২ রানের জুটি। উইলির বিদায়ের পর রোল্যান্ড-জোন্সকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৫২ রান যোগ করেন বেয়ারস্টো।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ইংল্যান্ড: ৩১.১ ওভারে ১৫৩ (বেয়ারস্টো ৫১, রোল্যান্ড-জোন্স ৩৭*, উইলি ২৬; রাবাদা ৪/৩৯, মহারাজ ৩/২৫, পারনেল ৩/৪৩)। দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮.৫ ওভারে ১৫৬/৩ (আমলা ৫৫, ডি কক ৩৪, ডুমিনি ২৮*,  ডি ভিলিয়ার্স ২৭*; বল ২/৪৩, রোল্যান্ড-জোন্স ১/৩৪)। ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্যম্যাচ: কাগিসো রাবাদা। ম্যান অবদ্য ম্যাচ: এউইন মরগান।