এক সেঞ্চুরিতে ইতিহাসে জামান
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে এর আগে সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র পাঁচজন। আইসিসির বিশ্বকাপকেও হিসাবে নিলে দুই টুর্নামেন্ট মিলে ফাইনালে সেঞ্চুরি মাত্র ১২ জনের। সেই ওরা ১২ জনের একজন হয়ে গেলেন ফখর জামান। এই টুর্নামেন্টেই অভিষেক হয়েছিল তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকার সেই ম্যাচে ৩১ রানের ইনিংস খেলার পর টানা দুটি ফিফটি করে আলাদা নজর কেড়েছিলেন। দলকে ফাইনালে তোলার পেছনে ভূমিকা ছিল ওই দুই ফিফটির।
ফাইনালের জন্যই হয়তো নিজের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিলেন! ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি, সেটিও ফাইনালে! এক সেঞ্চুরি দিয়েই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন কদিন আগেও অচেনা এই ব্যাটসম্যান। প্রথম পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন। তাঁর আগে আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন মাত্র দুই পাকিস্তানি—সাঈদ আনোয়ার (২০০৩ বিশ্বকাপ) ও শোয়েব মালিক (২০০৯ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি)।
৩ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান আম্পায়ারের নো বল সংকেতে। এরপর এলোপাতাড়ি কয়েকটি শট খেলে হাফ চান্স দিয়েছিলেন। কিন্তু ৯২তম বলে অশ্বিনকে সুইপ করে চার মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছানো এই বাঁ হাতির খেলা দেখে মনে হয়নি, ম্যাচটা ফাইনাল বলে কোনো স্নায়ুচাপে ভুগছেন। প্রতিপক্ষ যে ভারত, সে কথা না হয় বাদই দেওয়া হলো। প্রথম ৫০ ছুঁয়েছেন ৬০ বলে, পরের ৫০ মাত্র ৩২ বলে! শেষ পর্যন্ত আউট হওয়ার আগে খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস—১০৬ বলে ১২টি চার ও তিন ছক্কায় ১১৪ রানের ইনিংস খেলে।
খেলোয়াড় | ইনিংস | প্রতিপক্ষ | আসর |
সৌরভ গাঙ্গুলি (ভারত) | ১১৭ | নিউজিল্যান্ড | ২০০০ |
ফখর জামান (পাকিস্তান) | ১১৪ | ভারত | ২০১৭ |
শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া) | ১০৫* | নিউজিল্যান্ড | ২০০৯ |
মার্কাস ট্রেসকোথিক (ইংল্যান্ড) | ১০৪ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ২০০৪ |
ফিলো ওয়ালেস (উইন্ডিজ) | ১০৩ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ১৯৯৮ |
ক্রিস কেয়ার্নস (নিউজিল্যান্ড | ১০২* | ভারত | ২০০০ |