কারণ খুঁজছেন কোহলিও

দলের মতো অধিনায়ক কোহলির পারফরম্যান্সও ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ছবি: রয়টার্স
দলের মতো অধিনায়ক কোহলির পারফরম্যান্সও ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ছবি: রয়টার্স

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে হার। সেটাও আইসিসির টুর্নামেন্টের ফাইনালে। পাকিস্তানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা খুইয়েছে ভারত। তবে এ নিয়ে বাড়তি কোনো দুঃখ নেই বলে দাবি করলেন বিরাট কোহলি। বরং, এ হারকে আরেকটি সাধারণ হার হিসেবেই দেখছেন ভারত অধিনায়ক।

পাকিস্তানের দুর্দান্ত ব্যাটিং-বোলিংয়ের সামনে দ্বিতীয় দল হয়ে ছিল ভারত। ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে রীতিমতো খাবি খেয়েছে ভারত। অন্তত পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন কোহলিও, ‘পাকিস্তানকে অভিনন্দন, দারুণ এক টুর্নামেন্ট কাটাল ওরা। যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাতে ওদের প্রতিভা বোঝা যায়। আবারও প্রমাণ করেছে, নিজেদের দিনে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অঘটন ঘটাতে পারে ওরা। আমাদের জন্য এটি হতাশার, তবু হাসতে পারছি, কারণ ভালো খেলেই ফাইনালে এসেছি। ওদের কৃতিত্ব দিতে হচ্ছে, আমাদের প্রতিটি বিভাগে হারিয়ে দিয়েছে। খেলায় এটাই হয়।’

ফখর জামানের এক ইনিংসই কি ছিটকে দিয়েছিল ভারতকে? তাঁর ইনিংসে পাকিস্তান রানের পাহাড়ে চড়েছিল। সেই চাপ নিয়ে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বিধ্বংসী এক স্পেলের মুখে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা। অথচ জামান আউট হতে পারতেন শুরুতেই। জসপ্রীত বুমরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েও নো বল হওয়ায় বেঁচে যান। পরে ১১৪ রানের ইনিংসে পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়েছেন এই ওপেনার। ভারতীয় সমর্থকদের আক্ষেপ আছে এ নিয়ে।

কোহলি অবশ্য এটিকে খুব বড় করে দেখলেন না, ‘হ্যাঁ, ক্রিকেটে ছোট ছোট ঘটনাই বড় হয়ে ওঠে। তবে ফাইনাল হলেও একটা ম্যাচই তো হেরেছি। আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগোতে হবে।’

অথচ ফাইনালে ভারতকে এগিয়ে রাখছিল সবাই। পাকিস্তানকে কি তবে হালকাভাবে নেওয়াতেই হেরে গেল ভারত? কোহলি নিজে কারণ খুঁজছেন এমন ব্যর্থতার। তবে সেই কারণের তালিকায় পাকিস্তানকে হালকা করে নেওয়ার কোনো আলামত পাননি, ‘আমরা কাউকেই হালকাভাবে নিইনি। কিন্তু ওরা আমাদের চেয়ে বেশি তীব্রতা ও আবেগ নিয়ে খেলেছে। বোলিংয়ে আমরা আরও বেশ কয়েকটি উইকেট তোলার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারতাম। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি কিন্তু বোলিংয়েও ওরা আক্রমণাত্মক ছিল। হার্দিক ছাড়া আমাদের কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।’