সংবাদ সম্মেলনে কোহলি-সাংবাদিক বাউন্সার-হুক

এটা কোনো প্রশ্ন হলো! সংবাদ সম্মেলনে কোহলি। ছবি: আইসিসি
এটা কোনো প্রশ্ন হলো! সংবাদ সম্মেলনে কোহলি। ছবি: আইসিসি

মাঠে কতটুকু স্বস্তিকর সময় কেটেছে অধিনায়ক বিরাট কোহলির? কিংবা ব্যাটসম্যান কোহলির? বলা মুশকিল। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমে পাকিস্তানের রানের স্রোতে বাঁধ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরে ব্যর্থ ব্যাট হাতেও। সেটিও কীভাবে? আগের বলে স্লিপে সহজ ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেন। পরের বলেই ক্যাচ তুলে দিলেন পয়েন্টে! মোহাম্মদ আমিরের কাছে স্রেফ আত্মসমর্পণ করলেন এ সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান।

এভাবে ফাইনাল হারার পর যেকোনো ভারত অধিনায়কের জন্য কাজটা অনেক কঠিন; বিশেষ করে সেই পরাজয় যদি আসে পাকিস্তানের কাছ থেকে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে বেশ সাবলীলভাবে সব সামলে নিয়েছেন কোহলি। সরল ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোনো অজুহাত দাঁড় করাতে চাননি। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনটা অত স্বাচ্ছন্দ্যে পার করতে পারলেন না। প্রথম প্রশ্নটাতেই একরকম প্যাঁচ লেগে গেল!

প্রশ্নটা হলো ফখর জামানকে নিয়ে। প্রায় অচেনা-অখ্যাত জামান এক সেঞ্চুরিতে ভারতকে অর্ধেকটা ছিটকে দিয়েছেন ম্যাচ থেকে। অথচ আউট হতে পারতেন ৩ রানে। জসপ্রীত বুমরার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন। পরে আম্পায়ারের নো-বল ঘোষণা বাঁচিয়ে দেয় এই ওপেনারকে। শেষ পর্যন্ত ১০৬ বলে ১১৪ রান করেছেন।

এ নিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন। কোহলিও করলেন পাল্টা প্রশ্ন। প্রশ্ন-পাল্টা প্রশ্নের বাউন্সার-পুল-হুক চলল। কে বাউন্সার দিচ্ছে আর কে তা সামলাচ্ছে, বলা কঠিন ছিল। তবে একপর্যায়ে সেই সাংবাদিক লেজেগোবরে করে ফেললেন। সাংবাদিক ও কোহলির বাক্যবিনিময় হুবহু তুলে দিয়েছে ভারতের ডেকান ক্রনিকলস—

সাংবাদিক : ক্যাপটেন, টস জিতলেন, এরপর নো-বলে একটা উইকেট। এই ম্যাচে মাঠে কোনো সুখকর মুহূর্ত কি ছিল আপনার জন্য?
কোহলি : কোনো কী? সুখকর মুহূর্ত?
সাংবাদিক : সুখকর মুহূর্ত। টস জিতলেন, এরপর নো-বলে একটা উইকেট। এই ম্যাচে মাঠে কোনো সুখকর মুহূর্ত কি ছিল আপনার জন্য?
কোহলি : এই ম্যাচে কোনো সুখকর মুহূর্ত? কার জন্য?
সাংবাদিক : আপনার।
কোহলি : নো-বল কীভাবে আমার জন্য কোনো সুখকর মুহূর্ত হতে পারে?
সাংবাদিক : কারণ, ওই বলে উইকেট পেলেন।
কোহলি : এটা কোনো প্রশ্ন হলো? কী হচ্ছে এসব!