মেসি যদি রিয়ালের হতেন, রোনালদো যদি আর্জেন্টিনার!

মেসি-রোনালদো: সময়ের দুই ফুটবল জাদুকর! ফাইল ছবি
মেসি-রোনালদো: সময়ের দুই ফুটবল জাদুকর! ফাইল ছবি

তর্কের টেবিল চাপড়ে সমর্থকেরা পরস্পরকে বাতিল করে দেন ঠিকই; কিন্তু ভেতরে-ভেতরে শ্রদ্ধা আর সমীহ দুটিই থাকে। অনেক বার্সেলোনা বা আর্জেন্টিনা-সমর্থক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে মনে মনে স্যালুট করেন। আবার রিয়াল মাদ্রিদ বা ভিনদেশের সমর্থকদের মনে জমে আছে লিওনেল মেসি সম্পর্কে অগাধ শ্রদ্ধা। যুক্তিহীন কিছু সমর্থকের হিসাব অবশ্য অন্য।

সম্প্রতি রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের কথায় যেমন উঠে এল মেসি সম্পর্কে তাঁর মুগ্ধতার কথা। সম্ভব হলে মেসিকে যে তিনি রিয়াল মাদ্রিদে আনতেন, এ কথাও লুকাননি পেরেজ। আবার আর্জেন্টিনার জীবন্ত কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা বললেন, রোনালদো যদি আর্জেন্টিনায় জন্মাতেন!

মাঠের বাঁ উইংয়ে রোনালদো আর ডান উইংয়ে মেসি——একই একাদশে এই সুন্দরতম দৃশ্য দেখা যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মনের চাওয়ায় তো আর যুক্তির বাঁধ থাকে না। পেরেজ তাই বললেন, ‘অবশ্যই সম্ভব হলে আমরা মেসিকে মাদ্রিদে পেতে চাইতাম। কিন্তু সে বার্সার যুব দলে ছিল। তাই ওকে রিয়ালে নিয়ে আসা কখনো সম্ভব হতো না।’

আর ম্যারাডোনা রোনালদোর এই বয়সেও অসম্ভব গোলক্ষুধা, প্রতিপক্ষের জাল ছিন্নভিন্ন করে দেওয়ার গুণে মুগ্ধ হয়ে বললেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো যেন পশু (আর্জেন্টিনা-স্প্যানিশে ইতিবাচক অর্থে ব্যবহৃত)। আমার তো খুব ইচ্ছে করে, ও যদি আর্জেন্টিনার হতো!’

খেলার ধরনে রোনালদো অবশ্য অন্য ঘরানার। মেসি যেমন বহন করছেন ম্যারাডোনার লিগ্যাসি। দুজনের একজনকে বেছে নিতে হলে কী করতেন, সেটিও বললেন ম্যারাডোনা, ‘আমি এখনো মেসিকেই বেশি পছন্দ করি। ও ফুটবল খেলাটা খুব উপভোগ করে। কী সাবলীলভাবে প্রতিপক্ষের ভেতরে ঢুকে যায়।’

কথার সূত্র ধরে সেই পুরোনো প্রসঙ্গ আবার এল। ম্যারাডোনা তাঁর পুরোনো জবাবটাও দিলেন, ‌‘লিও একা কখনো বিশ্বকাপ জেতাতে পারবে না। আর ও যদি কখনো বিশ্বকাপ নাও যেতে, ফুটবলে ও চিরস্মরণীয় হয়েই থাকবে।’