সরাসরি বিশ্বকাপও নিশ্চিত হচ্ছে পাকিস্তানের?

শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতেনি পাকিস্তান, ২০১৯ বিশ্বকাপ সরাসরি খেলা তাদের অনেকটা নিশ্চিত। ছবি: রয়টার্স
শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতেনি পাকিস্তান, ২০১৯ বিশ্বকাপ সরাসরি খেলা তাদের অনেকটা নিশ্চিত। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু করেছিল ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে আটে থেকে। একে একে দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, ভারত—র‍্যাঙ্কিংয়ে তাদের ওপরে থাকা বড় বড় বাধা টপকে শিরোপা জিতেছে তারা। পুরস্কার হিসেবে পাকিস্তান এখন দুই ধাপ এগিয়ে আছে ছয়ে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর আগেও যাদের সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা, সেই পাকিস্তানের ২০১৯ বিশ্বকাপ অনেকটাই নিশ্চিত। 

র‍্যাঙ্কিংয়ের ওপরের সব দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতায় পাকিস্তানে পেয়েছে চার পয়েন্ট। তারা পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে। স্বাগতিক ইংল্যান্ডসহ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থাকা র‍্যাঙ্কিংয়ের সাতটি দল সরাসরি সুযোগ পাবে পরের বিশ্বকাপ খেলতে। সে হিসাবে পাকিস্তান স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে।
এ বছর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে নেই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর আইসিসির সফরসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশে সফর করার কথা ছিল পাকিস্তানের। পাকিস্তান যে সফরে আসবে না বলেই খবর। আপাতত এই দুই দল ওয়ানডেতে মুখোমুখি না হলে দুই দলের জন্যই পয়েন্টের দিক দিয়ে ভালো।
র‍্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজই কেবল হুমকি হতে পারে। কিন্তু তাদের অবস্থা এতটাই খারাপ, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আটে উঠে আসার সুযোগ নেই। বাংলাদেশেরও সরাসরি বিশ্বকাপ তাই নিশ্চিত। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যে নিশ্চিত, সেটা অবশ্য আগেই বোঝা গিয়েছিল। পাকিস্তান আট নম্বর দল হিসেবে খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে প্রত্যেক জয় থেকে বেশি পয়েন্ট অর্জন করেছে। যেটি তাদের তুলে এনেছে ছয়ে।
সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা অনেকটা নিশ্চিত হওয়ায় পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার তাই বলছেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত আমরা দুই বছর পাচ্ছি। যদি কোয়ালিফাইয়ের কথা বলেন, বিরাট এক চাপ নেমে গেছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার দল তৈরি করতে আমরা দুই বছর সময় পাচ্ছি।’ সূত্র: ক্রিকইনফো।

আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিং

র‍্যাঙ্কিং

দল

রেটিং পয়েন্ট

দ. আফ্রিকা

১১৯

অস্ট্রেলিয়া

১১৭

ভারত

১১৬

ইংল্যান্ড

১১৩

নিউজিল্যান্ড

১১১

পাকিস্তান

৯৫

বাংলাদেশ

৯৪

শ্রীলঙ্কা

৯৩

ও. ইন্ডিজ

৭৭

১০

আফগানিস্তান

৫৪