যে কারণে বাংলাদেশ সফরে অ্যাগার

বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার। ছবি: এএফপি।
বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া দলে সুযোগ পেয়েছেন অ্যাশটন অ্যাগার। ছবি: এএফপি।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন অ্যাশটন অ্যাগার। ২০১৩ সালের জুলাইয়ে অ্যাশেজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই অস্ট্রেলীয় বাঁ হাতি অলরাউন্ডারের সর্বশেষ টেস্টও ওই সিরিজেই। তবুও ভারতের বিপক্ষে পুনে টেস্ট জেতানো স্টিভ ও’কিফকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়া দলে আছেন অ্যাগারই।
২০১৩ সালের অ্যাশেজ সিরিজে ট্রেন্টব্রিজ টেস্টে অ্যাগারকে নেওয়া হয়েছিল অফ স্পিনার নাথান লায়নের বিকল্প হিসেবে। কিন্তু খুব একটা ভালো করতে পারেননি। টেস্টে যে চার ইনিংসে বোলিং করেছেন তাতে উইকেট পেয়েছেন মাত্র দুটি। বাকি তিন ইনিংসে ছিলেন উইকেটশূন্য। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন, তাতে তাঁর উইকেট সাকল্যে ৫টি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই বিবর্ণ পরিসংখ্যানের পরও বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া ঢাকা টেস্টে ২৩ বছর বয়সী স্পিনারকে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
অ্যাগারের অভিষেকের পর এশিয়ায় অস্ট্রেলিয়া যে ৯টি টেস্ট খেলেছে, তার আটটিতে তারা নেমেছে দুজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে নাথান লায়নের সঙ্গে স্পিন বোলিংয়ের বিভাগটা সামলানোর দায়িত্ব থাকতে পারে অ্যাগারের কাঁধেও।
অ্যাগার বলছেন, টেকনিকে আগের চেয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে তাঁর, ‘অনেক কিছু আমি ঠিক করেছে। আমার অ্যাকশন আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আরও ধারাবাহিক হতে পারব। আগের চেয়ে আমি আরও অভিজ্ঞ। পরিস্থিতি বুঝে কী করতে হবে, সেটা আগের চেয়ে এখন আরও ভালো বুঝি।’
গত মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডে অ্যাগারের পারফরম্যান্সও নির্বাচকদের উদ্বুদ্ধ করেছে তাঁকে দলে নিতে। ৪ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে ছিলেন স্পিনারদের মধ্যে চারে। অ্যাগারকে নেওয়ার ব্যাখ্যায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক ট্রেভর হনস বলেছেন, ‘অ্যাস্টন ভালো খেলে আমাদের মুগ্ধ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, সে যে বোলিং করছে, তাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা সে রাখে। আশা করি, নাথান লায়ানের সঙ্গে তার দারুণ জমবে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলে বড় অবদান রাখবে।’ সূত্র : ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।