'রান করলে ব্যাটিংটা দেখতে ভালো লাগে, না পেলে বাজে'

ধারাবাহিক হওয়াটাই সৌম্যর চ্যালেঞ্জ। ছবি: রয়টার্স
ধারাবাহিক হওয়াটাই সৌম্যর চ্যালেঞ্জ। ছবি: রয়টার্স

আগস্টে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফরে আসবে কি না, সেটি এখনো অনিশ্চিত। তবে মুশফিকরা বসে নেই। এখন চলছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প, কদিন পর শুরু হবে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন। ভালো প্রস্তুতি নিয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দেশের মাঠে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার যেমন বলছেন, তাঁদের লক্ষ্য একটাই—অস্ট্রেলিয়াকে হারানো।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চার টেস্ট খেলে বাংলাদেশ হেরেছে প্রতিটিতে। এই পরিসংখ্যানে পরিবর্তন আনার যে প্রতিজ্ঞা, সেটি সৌম্যর কথায় বোঝা গেল, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ। তারা আমাদের এখানে খেলতে আসবে। আমাদের সবাই যেভাবে ভালো খেলছে, এখনই সুযোগ ভালো খেলে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমার প্রথম টেস্ট সিরিজ হবে। এটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমার ব্যাটিং দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিততে পারি, সে চেষ্টাই করব।’
স্বপ্ন দেখতে বাধা নেই। কিন্তু স্বপ্ন পূরণে সৌম্যকে যে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি এই তরুণ বাঁহাতি ওপেনার। ৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৩৪ রান। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরে হারানো ছন্দটা খুঁজে পেলেও সর্বশেষ ইংল্যান্ড সফরে আবার তিনি ব্যর্থ। কেন ব্যর্থ হয়েছেন, সেটির উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন সৌম্য, ‘ইংল্যান্ডের সঙ্গে কিছুক্ষণ উইকেটে ছিলাম। বাকি ম্যাচগুলোয় দ্রুত আউট হয়ে গেছি। আমার খেলার ধরনই এমন। এভাবেই সাধারণত খেলি। যখন রান করি, তখন ব্যাটিং দেখতে হয়তো ভালো লাগে; যখন রান পাই না, হয়তো ব্যাটিংটা দেখতে বাজে লাগে। চাচ্ছি না নিজের খেলা বদলাতে। এখান থেকেই সফল হতে চাইছি।’
গত সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান সিরিজের আগেও ওয়ানডেতে সৌম্য সরকারের গড় ছিল ৪৯.৪২। সেটিই এখন দাঁড়িয়েছে ৩৫.৫১-এ। এ বছর খেলা ১১ ওয়ানডেতে ২৫.১১ গড়ে করেছেন ২৩৫ রান। সেঞ্চুরি পাননি একটিও, ফিফটি আছে দুটি। সৌম্য বুঝছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শুরুতে সাফল্য পাওয়াটা যত সহজ, সেটির ধারাবাহিকতা ধরে রাখা ততটাই কঠিন। এই কঠিনেরে ভালোবেসেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তাই বলছেন, ‘নিয়মিত যদি একই রকম আউট হতাম, তাহলে বুঝতাম আমার সমস্যাটা কী। কিন্তু আউটগুলো এক রকম নয়। ভিন্ন ভিন্ন আউট, সমস্যাও ভিন্ন। হতে পারে কোনো ঘাটতির কারণে এটা হচ্ছে। আমাকে রান করতে হবে, এটাই এখন আমার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। রান না করলে সবাই কথা বলবে, রান করলে কেউ কথা বলবে না। আমি রানের পেছনে দৌড়াচ্ছি।’
এই রানকে সৌম্য যত দ্রুত ‘ধরতে’ পারবেন, ততই মঙ্গল!