ইসরায়েল সীমান্তে বাংলাদেশের ফুটবলারদের হয়রানি

ফিলিস্তিনে যাওয়ার পথে আম্মান বিমানবন্দরে ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে
ফিলিস্তিনে যাওয়ার পথে আম্মান বিমানবন্দরে ফুটবলাররা। ছবি: বাফুফে

ফিলিস্তিনে খেলতে যাওয়াটা কতখানি নিরাপদ, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল ঢাকা ছাড়ার আগেই। যদিও এএফসি থেকে সব রকমের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই আশ্বাস পেয়েই বাংলাদেশ দল এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে খেলতে ফিলিস্তিনে গেছে। যদিও আজ নিরাপদেই ফিলিস্তিনে পৌঁছেছে বাংলাদেশ যুব দল। কিন্তু ইসরায়েল সীমান্তে বেশ ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে বাংলাদেশের ফুটবলারদের।

সরাসরি ফিলিস্তিনে বিমানে যেতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। নেপাল ও কাতারে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর দুবাইয়ে ট্রানজিট ছিল বাংলাদেশের। এরপর দুবাই থেকে বাংলাদেশ দল জর্ডান যায় বিমানে করে। সেখান থেকে ইসরায়েলের সীমান্তের ভেতর দিয়ে বাসে ১২ ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে পৌঁছায় ফিলিস্তিনে। প্রস্তুতি ম্যাচে চোট পাওয়া ফরোয়ার্ড জুয়েল রানার বদলে ইব্রাহিম দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আম্মান বিমানবন্দরে।
ইসরায়েল সীমান্তে ছিল নিরাপত্তার কড়াকড়ি। এএফসি যদিও এই ভ্রমণসূচি আগেই জানিয়েছিল ইসরায়েলকে। তারপরও ফুটবলাররা বিড়ম্বনায় পড়েন সেখানে। দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু ইসরায়েল সীমান্তের ভোগান্তিতে বেশ হতাশ, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনে পৌঁছেছি। ইসরায়েল সীমান্তে আমরা প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ভোগান্তিতে পড়েছিলাম। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
১৮ জুলাই বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচটি খেলবে জর্ডানের সঙ্গে। এরপর ২১ জুলাই তাজিকিস্তান ও ২৩ জুলাই ফিলিস্তিনের সঙ্গে খেলবেন বাংলাদেশের যুবারা।