বোল্ট-ওটিকে ছুঁলেন ফেলিক্স
৪০০ মিটারে নিজের সেরাটা দেখিয়েছিলেন গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেই। বেইজিংয়ে সোনা জিতেছিলেন ব্যক্তিগত সেরা ৪৯.২৬ সেকেন্ড সময় করে। প্রত্যাশা ছিল এবারও জিতবেন। কিন্তু সোনা তো এলই না, কোনোক্রমে জিতলেন ব্রোঞ্জ। তাতেও অবশ্য উদ্যাপনের একটা উপলক্ষ পেলেন অ্যালিসন ফেলিক্স। পরশুর এই ব্রোঞ্জ দিয়েই যে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে উসাইন বোল্ট ও মার্লিন ওটির সবচেয়ে বেশি ১৪টি পদক জয়ের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেছেন।
তবে সর্বোচ্চ পদক জয়ের এই যৌথ রেকর্ডে তাঁর নাম হয়তো থাকবে মাত্রই তিন দিনের জন্য। ১০০ মিটার রিলেতে একটি পদক পেলেই সবাইকে ছাড়িয়ে এককভাবে রেকর্ডটির মালিক হবেন উসাইন বোল্ট। তবে সবাইকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি নিজের করেও নিতে পারেন ফেলিক্স। ১০০ ও ৪০০ মিটার রিলেতেও তাঁর দৌড়ানোর কথা। ১৯৯৫ হেলসিংকি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম অংশ নেওয়া ফেলিক্সের এটি ষষ্ঠ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ।
‘মিথ্য বলব না, এদিন সোনা হারানোয় হতাশ হয়েছি। তবে প্রতিযোগিতা এখানেই শেষ হয়ে যায়নি’—সোনা জিততে না পেরে হতাশ ফেলিক্স, তবে ব্রোঞ্জ জিততে পারাই তাঁর জন্য ছিল ভাগ্যের। শুরু থেকে ট্র্যাকে এগিয়ে গিয়েছিলেন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন শন মিলার-উইবো। ধারণা করা হচ্ছিল, বেশ এগিয়ে থেকেই দৌড় শেষ করবেন বাহামার প্রতিযোগী। কিন্তু সমাপ্তিরেখার ৩০ মিটার দূরে থাকতে পেশিতে টান পড়ে তাঁর। খোঁড়াতে খোঁড়াতে যখন দৌড় শেষ করলেন, তার আগেই তিনটি পদকের জন্য তিনজন ছুঁয়ে ফেলেছেন সমাপ্তিরেখা। যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস ফ্রান্সিস ৪৮.৯২ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হয়েছেন। রুপাজয়ী বাহরাইনের সালওয়া ইদ নাসের সময় নিয়েছেন ৫০.০৬ সেকেন্ড। ফেলিক্সের লেগেছে ৫০.০৮ সেকেন্ড। এএফপি, রয়টার্স।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শিপে ১৪ পদক
সোনা রুপা ব্রোঞ্জ
উসাইন বোল্ট ১১ ২ ১
মার্লিন ওটি ৩ ৪ ৭
অ্যালিসন ফেলিক্স ৯ ৩ ২