সংখ্যায় সংখ্যায় উসাইন বোল্ট

রূপকথার অপেক্ষায়

উসাইন বোল্ট। ছবি: রয়টার্স
উসাইন বোল্ট। ছবি: রয়টার্স

ছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু উসাইন বোল্টের বিদায়বেলায় রূপকথার মতো হলো না। লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে প্রথমে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনা জিততে ব্যর্থ হলেন, নিজের শেষ ইভেন্ট ৪ x ১০০ মিটার রিলেতেও দৌড়ই শেষ করতে পারলেন না। হ্যামস্ট্রিং চোটে ট্র্যাকে লুটিয়ে পড়ে ব্যথাতুর সমাপ্তি ঘটল সর্বকালের সেরা অ্যাথলেটের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের।
প্রিয় পাঠক, বিদায়লগ্লে সংখ্যায় সংখ্যায় জেনে নিন বোল্টের বর্ণময় খেলোয়াড়ি জীবনকে...

‘১’
ক্যারিয়ারে একবারই ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন উসাইন বোল্ট। সেটিও একেবারে গোধূলিবেলায় এসে। গতকাল শনিবার লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ব্রোঞ্জ জোটে বোল্টের ভাগ্যে। এই ইভেন্টে সোনা জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিন।
‘৩’
পরপর তিনটি অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সোনাজয়ী ইতিহাসের একমাত্র অ্যাথলেট উসাইন বোল্ট। ২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিক দিয়ে শুরু। এরপর ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকের পর ২০১৬ সালে রিওতেও জয় করেন সোনা। অলিম্পিকে ‘ট্রেবল’ ‘ট্রেবল’টাও তাঁরই হতো; যদি না বেইজিং অলিম্পিক রিলের সতীর্থ নেস্তা কার্টার ডোপপাপী প্রমাণিত হতেন। ১০০ মিটার স্প্রিন্টের মতোই বেইজিং, লন্ডন আর রিওতে জ্যামাইকাতে রিলে দৌড়ে সোনা জিততে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন। বেইজিংয়েরটা বাতিল হয়ে গেলেও লন্ডন আর রিওর রিলে-সাফল্যের কৃতিত্বটা তো তাঁর থাকছেই।
‘৪’
চারবার ওয়ার্ল্ড স্পোর্টসম্যান অব দ্য ইয়ার নির্বাচিত হয়েছেন নিজের ক্যারিয়ারে। ২০০৯ আর ২০১০ সালে পরপর দুবার জেতেন এই পুরস্কার। ২০১৩ সালে জেতেন তৃতীয়বারের মতো। শেষবার জিতেছেন এ বছর—২০১৭-তে।

‘৫’
জীবনে পাঁচজন স্প্রিন্টারের কাছেই হেরেছেন বোল্ট। এঁরা হলেন—গ্যাটলিন, কোলম্যান, আসাফা পাওয়েল, টাইসন গে আর জাস্টিন গ্যাটলিন। এই পাঁচ অ্যাথলেট নিশ্চিতভাবেই অমর হয়ে থাকবেন অ্যাথলেটিকসের ইতিহাসে।

‘৬’
আইএএফের সেরা পুরুষ অ্যাথলেটের শিরোপা ছয়বার নিজের করে নিয়েছেন বোল্ট—২০০৮, ২০০৯, ২০১১, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৬—এই ছয় বছর আইএএফের সেরা পুরুষ অ্যাথলেট নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

‘৮’
বোল্টের ক্যারিয়ারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সংখ্যা। অলিম্পিকে আটটি সোনার পদক জিতেছেন তিনি। ২০০৮ সালে বেইজিং, ২০১২ সালে লন্ডন আর ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের ছয়টি সোনা। পাশাপাশি লন্ডন ও রিওর রিলের দুটি সোনা।

‘৯.৫৮’
২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ৯.৫৮ টাইমিংয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতেছিলেন বোল্ট।

‘৯.৬৩’
২০০৮ সালে বেইজিং অলিম্পিকে এই টাইমিং দিয়েই ১০০ মিটার স্প্রিন্ট জিতেছিলেন বোল্ট। পরের বছরই বার্লিনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এই টাইমিং ছাড়িয়ে যান। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেরা টাইমিং।

‘৯’
ক্যারিয়ারে মোট নয়বার বোল্ট ৯.৭৭ থেকে কম অথবা এর বেশি টাইমিংয়ে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন।

‘১১’
বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে তাঁর মোট সোনার সংখ্যা। ১০০ মিটার স্প্রিন্ট (২০০৯, ২০১৩ ও ২০১৫), ২০০ মিটার স্প্রিন্ট (২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫) রিলে (২০০৯, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫)।

‘৮.৭০’
এটাও বোল্টের টাইমিং। তবে একটি দৌড়ের শেষ ১০০ মিটারের হিসাব। ২০০৯ সালে ম্যানচেস্টারের বুপা গ্রেট সিটি গেমসে ১৫০ মিটার দৌড়ের শেষ ১০০ মিটারে এমন অবিশ্বাস্য গতিতে দৌড়েছিলেন সর্বকালের সেরা এই অ্যাথলেট।

‘১৯.১৯’
২০০৯ সালে বার্লিনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে বোল্টের বিশ্ব রেকর্ড গড়ে করা টাইমিং।

‘৩১’
বোল্টের বয়স। জ্যামাইকান অ্যাথলেট ২১ আগস্ট ৩২ বছরে পা রাখবেন।

‘১৯৫’
বোল্টের উচ্চতা ১৯৫ মিটার। অন্য হিসাবে ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি।
সূত্র: এএফপি