কামাল বাবুকে হারাতে পারলেন না আপুসি

কাদা মাঠে দুই গোলদাতার ‘মল্লযুদ্ধ’। ছবি: প্রথম আলো
কাদা মাঠে দুই গোলদাতার ‘মল্লযুদ্ধ’। ছবি: প্রথম আলো

টানা তিন ম্যাচ জিতে উড়ছিল কোচ জোসেফ আপুসির শিষ্যরা। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ শুরু শেখ জামাল ধানমন্ডির। বিজেএমসির বিপক্ষে ১-০ ও শেখ রাসেলের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়। কিন্তু চতুর্থ ম্যাচে এসে আর পারল না তারা। কামাল বাবুর রহমতগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে শেখ জামাল।

অপেক্ষাকৃত ছোট দল নিয়ে নাইজেরিয়ান আপুসির বিপক্ষে কামাল বাবুর নৈতিক জয় বলাই যায়! ম্যাচ শেষে তাই আপুসির মুখ গোমড়া, ‘ড্র অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত ফল নয়। ম্যাচ জিততে না পারাই অবশ্যই আমি অসন্তুষ্ট। তবে খেলোয়াড়দের ওপর আমার কোনো রাগ নেই। ওরা তাদের কাজটা ভালোই করেছে।’

একাদশ দেখে স্পষ্ট, শেখ জামালকে থামানোর অঙ্ক কষেই মাঠে নেমেছিলেন কামাল বাবু। ধানমন্ডির আক্রমণভাগের দুই বিদেশি মোমোদুহ বাহ ও সলোমন কিংকে আটকানোর জন্য বাড়তি একজন ডিফেন্ডারকে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলিয়েছে রহমতগঞ্জ। কৌশলটি কাজেও লেগেছে। প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়ে সে ডিফেন্ডার রিমন শুধু নিজের ঘরই পাহারা দেননি, কর্নার থেকে গোল করে রহমতগঞ্জকে ম্যাচেও ফিরিয়েছেন। ২০ মিনিটে গোলমুখে জটলার মধ্যে থেকে টোকা দিয়ে গোল করেছেন তিনি।

এর দুই মিনিট আগে শেখ জামালকে এগিয়ে নিয়েছিলেন গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার মোমোদুহ। এনামুলের এরিয়াল থ্রু পেয়ে প্রতিপক্ষ রাইটব্যাক নিরাকে গতিতে ছিটকে ফেলে প্লেসিংয়ে গোলটি করেন গাম্বিয়ান এই স্ট্রাইকার। লিগে এটি তাঁর তৃতীয় গোল।

এই ড্রয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ে দুই পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ল শেখ জামাল। চট্টগ্রাম আবাহনী চার ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। সমান ম্যাচে জামালের সংগ্রহ ১০। সমানসংখ্যক ম্যাচে রহমতগঞ্জের অর্জন সাত পয়েন্ট।