মো ফারাহর শেষেও হার

বিদায়বেলায় পরিবারের সঙ্গে মো ফারাহ। পরশু লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে l রয়টার্স
বিদায়বেলায় পরিবারের সঙ্গে মো ফারাহ। পরশু লন্ডনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে l রয়টার্স

ঘরের মাঠ। গ্যালারিভর্তি দর্শক। নিজের চাওয়ার সঙ্গে পুরোপুরি মিলে গিয়েছিল ‘বিদায়ের পাণ্ডুলিপি’। কিন্তু নিয়তি শেষটা লিখল অন্যভাবে! ২ হাজার ১৭৬ দিন ধরে যিনি কোনো বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার ফাইনালে হারেননি, সেই সোনার অ্যাথলেট মো ফারাহর শেষটা হলো রুপা দিয়ে। নিরঙ্কুশ ফেবারিট হয়েও ছেলেদের ৫০০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেন না সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ।

ইথিওপিয়ার মুকতার ইদ্রিসের পরে দ্বিতীয় হয়ে দৌড় শেষে আবেগাপ্লুত ফারাহ শুয়ে পড়লেন ট্র্যাকে। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সব দর্শকের চোখ তখন তাঁর দিকে। আর তিনি চোখের জলের ধারা সামলাতে দুহাতে চোখমুখ ঢেকে ফেলেছেন। ২০১১ সালের পর এই প্রথম বৈশ্বিক কোনো মিটের ফাইনালে হারলেন। এতে টানা পাঁচটি বৈশ্বিক মিটে ৫০০০ ও ১০০০০ মিটার শিরোপার ‘ডাবল’ পঞ্চক হলো না। তাঁর কান্নাটা এই জন্য নয়, এটি ট্র্যাকের সঙ্গে তাঁর ১১ বছরের সম্পর্কচ্ছেদের! পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেছেন, ‘এই লন্ডনেই বড় হয়েছি আমি। এটা আমার সিটি। সকালটা আমি সত্যিই উপভোগ করেছি...লন্ডন আই, ওপরে তাকালে চোখে আসে বিগ বেন। আমার যাত্রাটা শুরু হয়েছিল লন্ডনেই এবং শেষটাও হলো লন্ডনে। যা আমি সব সময়ই চেয়ে এসেছি। লন্ডন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ করতে পারাটা আমার জন্য দারুণ ব্যাপার।’ আবেগাপ্লুত কেন হয়েছেন, সেটি নিয়েও বলতে হয়েছে তাঁকে, ‘আমার চোখে জল আর ধরছিল না। আগে কখনো এমনটা হয়নি। এটা অসাধারণ একটা যাত্রা—যেখানে শুরু, সেখানেই শেষ। আমি একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।’

জয়ের পর ‘মোবট’ ভঙ্গিতে দেখা যায় মো ফারাহকে। তবে এদিন হারলেও টাক মাথার ওপরে দুই হাত তুলেছেন। কিন্তু ইভেন্টটা যে ছিল মো ফারাহরই সেটি মনে করিয়ে জয়ের পর মোবট ভঙ্গি করেছেন মুকতার ইদ্রিস। তিনি সময় নিয়েছেন ১৩ মিনিট ৩২.৭৯ সেকেন্ড। মো ফারাহর লেগেছে ১৩ মিনিট ৩৩.২২ সেকেন্ড। এএফপি, রয়টার্স।