এক স্লাইডিং ট্যাকলে হার বাঁচল মোহামেডানের

রহমতগঞ্জ-মোহামেডানের ম্যাচটি হয়েছে গোলশূন্য ড্র। ছবি: প্রথম আলো
রহমতগঞ্জ-মোহামেডানের ম্যাচটি হয়েছে গোলশূন্য ড্র। ছবি: প্রথম আলো

২০১৩ কনফেডারেশন কাপে স্পেন বনাম ব্রাজিলের ফাইনালের কথা মনে আছে? ব্রাজিলের ৩-০ গোলে জয়ী হওয়ার ম্যাচের ৪১ মিনিট পেদ্রোর শট কি অতিমানবীয় স্লাইডিং করে গোল লাইন থেকে ঠেকিয়ে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ। সেই লুইজকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ মনে করিয়ে দিলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ডিফেন্ডার মিন্টু শেখ।

প্রায় একইভাবে গোল লাইন থেকে স্লাইডিং করে শুধু গোলই বাঁচাননি মিন্টু, বাঁচিয়েছেন মোহামেডানকেও। ম্যাচ শেষে মিন্টু নিজেও জানালেন, লুইজের সে গোল বাঁচানোর দৃশ্য তাঁর চোখে এখনো ভাসে। যদিও কনফেডারেশন কাপের ফাইনালের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে মেলানো যাবে না। কিন্তু লুইজের ট্যাকলের সঙ্গে মিন্টুর ট্যাকলের ধরন তো একই। দুজনই খেলে থাকেন সেন্টার ডিফেন্ডার পজিশনে।
রহমতগঞ্জ-মোহামেডানের গোলশূন্য ড্র হওয়ার ম্যাচের প্রথমার্ধের ২২ মিনিটে দেখা যায় সুন্দর এই ট্যাকলটি। রহমতগঞ্জের স্ট্রাইকার রাশেদুল ইসলাম শুভ মোহামেডানের আগুয়ান গোলরক্ষক মামুন খানকে আউটসাইড ডজে পরাস্ত করে ফাঁকা পোস্টে বল রেখেছিলেন। কিন্তু অনেক পেছন থেকে দৌড়ে এসে জোড়া পা সামনের দিকে ছেড়ে দিয়ে গোল লাইন থেকে বল বাইরে পাঠান মিন্টু। সতীর্থদের বাহাবা পেলেন মিন্টু। অথচ এমন সন্ধ্যায় মোহামেডানকে ডোবাতে গিয়েছিলেন নিজ দলের মিডফিল্ডার অনিক হোসেন! ৪১ মিনিটে খামখেয়ালিপানার মাশুল হিসেবে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে এই মিডফিল্ডারকে। প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকার শুভকে পেছন থেকে লাথি মারলে নিশ্চিত লাল কার্ডের খড়্গ নেমে আসে তার ওপর।
দ্বিতীয়ার্ধের পুরোটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে মোহামেডান। একজন কম থাকার পরও ম্যাচে ভালোই দাপট দেখিয়েছে তারা। বিশেষ করে সেন্টারব্যাক মিন্টু ও মনজুরুর রহমান জুটি ছিল খুবই জমাট। তবে বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করেছিল পুরান ঢাকার দলের স্ট্রাইকাররা। কিন্তু তাতে গোলমুখ খোলেনি। ৫১ মিনিটে মুস্তফা জাত্তার বাড়ানো বল গোলমুখ থেকে পা লাগাতে পারেননি বাঙ্গুরা। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয় গোলশূন্য ড্রতে। সব ছাপিয়ে ম্যাচ শেষে সবার মুখে মুখে মিন্টু শেখের ওই স্লাইডিং ট্যাকল!
এই ড্রয়ে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ অবস্থানে মোহামেডান। আর ১০ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রহমতগঞ্জ।