ক্লার্কের সেরা স্মিথ ও কোহলি

কয়েক বছর ধরেই ক্রিকেটে বড় আলোচনার বিষয় এটি। ফুটবলে ‘রোনালদো-মেসি’ বিতর্কের মতোই যেন। আগামী রোববার থেকে তর্কটা নিশ্চিত আরও জোরদার হতে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া-ভারতের পাঁচ ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ যে শুরু হচ্ছে সেদিন। তবে সিরিজের আগেই বিতর্কটায় একটা সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাইকেল ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়কের চোখে দুজন দুই সংস্করণে সেরা ব্যাটসম্যান। স্মিথ টেস্টে, আর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে কোহলি।

‘আমার মনে হয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে স্টিভের (স্মিথ) চেয়ে বিরাট (কোহলি) এগিয়ে। তবে পার্থক্যটা উনিশ-বিশ। স্মিথকে আমার কাছে (কোহলির চেয়ে) ভালো টেস্ট ব্যাটসম্যান মনে হয়’—ভারতীয় সাংবাদিকদের বলেছেন ক্লার্ক। সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের কথাটা যেন আইসিসির ব্যাটসম্যানদের র‍্যাঙ্কিংয়েরই প্রতিচ্ছবি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এখন র‍্যাঙ্কিং-শীর্ষে কোহলি, টেস্টের সিংহাসন স্মিথের দখলে।

এখন পর্যন্ত দুজনের ক্যারিয়ারের পরিসংখ্যানও বলে টেস্টে স্মিথ অনেক এগিয়ে। দুজনের টেস্টসংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। কোহলি খেলেছেন ৬০টি টেস্ট, স্মিথ চারটি কম। কিন্তু রানে, গড়ে, ফিফটি-সেঞ্চুরিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান। অধিনায়ক হওয়ার পর যেন আরও উজ্জ্বল। দুই বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, এই সময়ে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানও তাঁর (২৪১৮, সর্বোচ্চ ইংল্যান্ডের জো রুটের—২৬০৭)।

ওয়ানডেতে অবশ্য কোহলি যেন ‘উসাইন বোল্ট’। স্মিথের চেয়ে কোহলির ম্যাচের সংখ্যাই অবশ্য প্রায় দ্বিগুণ। ৯৮ ওয়ানডেতে স্মিথ যেখানে রান তুলেছেন ৪৪.২৬ গড়ে, ১৯৪ ওয়ানডে খেলা কোহলির গড় ৫৫.৭৫! ২৮ বছর বয়সেই ৩০টি সেঞ্চুরি হয়ে গেছে কোহলির। প্রায় সমবয়সী স্মিথের সেঞ্চুরি মাত্র ৮টি!

টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যানও ক্লার্কের বক্তব্যই সমর্থন করে। এখানেও অনেক এগিয়ে কোহলি। ৩০ ম্যাচে স্মিথ যেখানে রান করেছেন ২১.৫৫ গড়ে, কোহলির গড় সেখানে ‘অতিমানবীয়’—৫৩.৮২!