এই আগুয়েরোকেই তো চাই আর্জেন্টিনার

তর সইল না ভক্তের। ফাঁক গলে মাঠে ঢুকে পড়ে তখনই তুললেন সেলফি! ছবি: এএফপি
তর সইল না ভক্তের। ফাঁক গলে মাঠে ঢুকে পড়ে তখনই তুললেন সেলফি! ছবি: এএফপি

একের পর এক ব্যর্থতার ফলাফল আর্জেন্টিনার একাদশে জায়গা হারানো। আর্জেন্টিনার বাছাইপর্বের গত দুই ম্যাচে জায়গা হয়নি সার্জিও আগুয়েরোর। হোর্হে সাম্পাওলি দায়িত্ব নেওয়ার পর যে দুজনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন, আগুয়েরো তাঁদের একজন। হয়তো এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই, কিন্তু ক্লাবের হয়ে আগুয়েরো যে আগুন-ফর্মে আছেন, তাতে সাম্পাওলির পক্ষে সম্ভব হবে না এই স্ট্রাইকারকে অবজ্ঞা করে চলা। বিশেষ করে গত দুই ম্যাচে ইকার্দি-মেসি-দিবালার আক্রমণত্রয়ী যখন ছিল নিষ্ফলা। আর সেই সময়েই আগুয়েরোর জ্বলে ওঠা।

আগের ম্যাচে অ-ইউরোপীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড করেছেন। কাল ওয়াটফোর্ডের বিপক্ষে করলেন হ্যাটট্রিক। কাল নিজে তিন গোল করার পাশাপাশি গ্যাব্রিয়েল হেসুসকে দিয়ে একটি গোল করিয়েছেন। পাশাপাশি নিকোলাস ওটামেন্ডি আর রাহিম স্টার্লিংয়ের গোলে ৬-০-র বড় ব্যবধানে জিতে এসেছে সিটি।

সিটির জার্সি গায়ে আগুয়েরোর এখন ১৭৫টি গোল। আর তিনটি গোল করতে পারলে সিটির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যাবেন। এরিক ব্রুক ১৭৭টি গোল করেছেন, যে রেকর্ড ১৯৩৯ সাল থেকে অক্ষত।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এটি আগুয়েরোর ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। রুনিও প্রিমিয়ার লিগে ছয়টি হ্যাটট্রিক করেছেন। তবে আগুয়েরোর চেয়ে ২৭৮টি ম্যাচ বেশি খেলতে হয়েছে তাঁকে। সব প্রতিযোগিতা মিলে সিটির হয়ে এটি তাঁর দশম হ্যাটট্রিক। প্রিমিয়ার লিগে আগুয়েরোর চেয়ে হ্যাটট্রিক আছে অ্যালান শিয়ারার (১১), রবি ফ্লাওয়ার (৯), থিয়েরি অঁরি (৮) ও মাইকেল ওয়েনের (৮টি)।

ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতেও ২০১ গোল হয়ে গেল আগুয়েরোর। ইংল্যান্ডে ১২৭ গোলের আগে স্পেনে ৭৪ গোল করে এসেছেন।

প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে টানা ৮ ম্যাচে গোল করলেন। টানা ৯ গোল করা রবিন ফন পার্সির রেকর্ডটাও এখন হুমকির মুখে।

আগুয়েরো আবার জাতীয় দলের একাদশে ফিরছেন, মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু জার্সি বদলেই না আবার ফর্ম হারিয়ে ফেলেন!