কোচ বাদ, কাতার ভ্রমণে কর্মকর্তারা!
গত মাসের দৃশ্যটা ভুলে যাওয়ার কথা নয়। অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে গোলরক্ষক ইমন হাওলাদারের শিশুসুলভ ভুলেই ৪-২ গোলে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনাল থেকেই বিদায়। এই পরাজয় থেকে কোথায় শিক্ষা নেবে, তা না হয়ে ফল হয়েছে উল্টো। দলের সঙ্গে থাকা গোলকিপার কোচকেই বাদ দিয়েছে বাফুফে।
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্ব খেলতে আজ রাতেই কাতারের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে কিশোর দলটি। অথচ দলের সঙ্গে রাখা হয়নি কোনো গোলরক্ষক কোচ। মজার বিষয় হলো দলের সঙ্গে আছেন ম্যানেজারসহ চারজন কর্মকর্তা। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে হইহুল্লোড়ের সঙ্গে রসিকতা, ‘কোচের প্রয়োজন নেই, কাতার ভ্রমণে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।’
কাতারে শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। ‘ই’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী স্বাগতিক কাতার, আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। দলটির গোলরক্ষক কোচ ছিলেন জাহানই আলম নূরী রাহেল। আজ সকালেও গোলরক্ষকদের অনুশীলন করিয়েছেন তিনি। অথচ খেলা শুরু হওয়ার আগে তিনিই নেই দলের সঙ্গে। অর্থাৎ বড় একটি টুর্নামেন্টে মাঠে নামার আগেই কোচ হারিয়ে বসলে কিশোরেরা। এ নিয়ে দলের প্রধান কোচ মোস্তফা আনোয়ার পারভেজও অস্বস্তিতে, ‘এটা হওয়া উচিত নয়। যারা দলকে প্র্যাকটিস করাই, তাদের দলের সঙ্গে যাওয়া উচিত। কোচ থাকলে অবশ্যই ভালো হতো। তবে এটা অফিশিয়ালদের সিদ্ধান্ত।’
দলে তিন কোচের সঙ্গে কর্মকর্তা চারজন। ম্যানেজার ছাড়া বাকি কর্মকর্তাদের কার কী দায়িত্ব, তা হয়তো তাঁরা নিজেরাও জানেন না। অথচ সংবাদ সম্মেলনে তাঁদের ভিড়ে খুঁজেই পাওয়া যায় না কোচ ও অধিনায়ককে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও শুরুতে কথা বলার সুযোগ করে দিলেন কর্তাদেরই।