চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কী করেছিল বাংলাদেশ, মনে আছে তাহিরের

এ ম্যাচের কথা ভালোভাবেই মনে আছে তাহিরের। ফাইল ছবি
এ ম্যাচের কথা ভালোভাবেই মনে আছে তাহিরের। ফাইল ছবি

র‌্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যে অনেক ব্যবধান। আইসিসির সর্বশেষ ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে দুইয়ে আর বাংলাদেশ সাতে। যদিও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাংলাদেশ ছয়ে উঠেছিল, যেটি তাদের সেরা র‌্যাঙ্কিং। সেটিও তো দক্ষিণ আফ্রিকার আশপাশে থাকার মতো নয়।

কিন্তু যে রেটিং পয়েন্ট দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের হিসাব হয়, সেটি যে কখনো কখনো যে নিছকই সংখ্যা, সেটা তো বাংলাদেশই প্রমাণ করেছে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে পেছনে ফেলে উঠেছে সেমিফাইনালে। টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাও।
যতই সিরিজটা নিজেদের মাঠে খেলুক কিংবা সর্বশেষ টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করুক, সংস্করণটা ওয়ানডে বলেই দক্ষিণ আফ্রিকা গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছে বাংলাদেশকে। দলের লেগ স্পিনার ইমরান তাহির তাই বলছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে। ওরা সেমিফাইনালে উঠেছে। সহজ দল তারা নয়। আমাদের নিজেদের সেভাবে তৈরি করতে হবে। এটা একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেভাবে আমরা খেলি, সেভাবে খেলতে হবে। গত দু-তিন বছর আমরা যেভাবে খেলছি, সেভাবে খেললে অবশ্যই আমরা যেকোনো দলকে হারাতে পারব।’
শুধু ক্রিকেটীয় সৌজন্য মেনেই যে তাহির বাংলাদেশকে সমীহ করছেন, তা নয়। পরিসংখ্যানও প্রোটিয়াদের সমীহ করতে বাধ্য করবে। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে বাংলাদেশে এসে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার নিজেদের মাটিতে সেই সিরিজ হারের প্রতিশোধ নিতে চাইবে তারা। তবে কাজটা যে সহজ নয়, সেটি মনে করিয়ে দিচ্ছেন তাহির, ‘আমরা জিততে চাই। তবে একটা আন্তর্জাতিক দলের বিপক্ষে খেলছি। কাজটা মোটেও সহজ নয় যে এলাম, হাত ঘুরালাম আর ওদের হারিয়ে দিলাম। এটার জন্য আমাদের তৈরি থাকতে হবে, জয়ের জন্য দুর্দান্ত খেলতে হবে।’
টেস্টের পর ওয়ানডেতেও দক্ষিণ আফ্রিকা যে বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষা নেবে, সেটি বোঝা যাচ্ছে ব্লুমফন্টেইনের প্রস্তুতি ম্যাচে। বাংলাদেশের দেওয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে এরই মধ্যে ৩৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৮৮ করে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।