নতুন কাঠামোয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, বাংলাদেশ প্রস্তুত তো?

বাংলাদেশের বোলিং শক্তি কি তৈরি?। ছবি: এএফপি
বাংলাদেশের বোলিং শক্তি কি তৈরি?। ছবি: এএফপি

অকল্যান্ডে আইসিসির সভায় অনুমোদন হয়ে গেল আইসিসির বহুল আলোচিত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। অনুমোদিত হয়েছে ওয়ানডে লিগও। ক্রিকেট হয়ে যাবে এখন অনেকটা লিগভিত্তিক খেলা। প্রায় সবার সঙ্গে সবাইকে খেলতে হবে। থাকবে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ। নতুন কাঠামোয় বাংলাদেশকে যেমন দুই বছরের মধ্যে তিনটি অ্যাওয়ে টেস্ট সিরিজ খেলতেই হবে। বাংলাদেশ কি প্রস্তুত?

নিউজিল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষ করে বোলারদের নখদন্তহীন বোলিং বলছে, পেস কন্ডিশনে এখনো বাংলাদেশ টেস্টে লড়াই করার মতো শক্তি গড়ে তুলতে পারেনি। প্রস্তাবিত লিগভিত্তিক টেস্ট ক্রিকেট চালু হলে বাংলাদেশকে হয়তো নিয়মিত খেলতে হবে বিদেশের মাটিতে।
২০১৯ বিশ্বকাপের পর এই লিগ ক্রিকেট চালু হবে। আপাতত খসড়া যে সফরসূচি, তাতে ২০১৯-২০ মৌসুমে বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতে টেস্ট সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। অ্যাওয়ে সিরিজ দুটি ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। আবার ২০২০-২১ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে অ্যাওয়ে সিরিজ। ২০২১-২২ মৌসুমে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ; অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে হবে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ২০২২-২৩ মৌসুমে হোম সিরিজ ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। অ্যাওয়ে সিরিজে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
টেস্টে ভালো করতে হলে ভালো বোলিং শক্তির কোনো বিকল্প নেই। টেস্টে জিততে হলে যেমন ২০ উইকেট নেওয়া জরুরি। কিন্তু বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বোলিং সামর্থ্য যা, তাতে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
গত তিন বছরে দেশের মাঠে ক্রিকেটের যেকোনো সংস্করণে নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠ করলেও বিদেশে বাংলাদেশের হতশ্রী ছবিটা যে বদলায়নি সেটি তো দেখাই যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই টেস্টেই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়ারা হেসেখেলে ধবলধোলাই করেছে মুশফিকদের। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখনো পর্যন্ত খেলেছে ৯ টেস্ট। গত মার্চে কলম্বোয় শততম টেস্ট বাদে হেরেছে প্রতিটিই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা—পাঁচ সিরিজের চারটিতেই ধবলধোলাইয়ের শিকার মুশফিকেরা।
যে দলটাকে বলা হচ্ছিল ‘বদলে যাওয়া দল’ তারাই গত তিন বছরে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ যদি অনুমোদন হয়ে যায়, বাংলাদেশকে নিয়মিত খেলতে হবে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে। দেশে ভালো করলেও বিদেশে ঘন ঘন পরাজয়ের লজ্জা এড়াতে বাংলাদেশকে তৈরি হতে হবে এখনই।

বিদেশের মাটিতে দলগুলোর বোলিং

দল

ম্যাচ

উইকেট

গড়

স্ট্রাইক রেট

বাংলাদেশ

৪৯

৪৬৪

৫৩.৩৭

৯২.৫

জিম্বাবুয়ে

৪৬

৫১১

৪২.২৫

৮৫.২

শ্রীলঙ্কা

১৩০

১৬৮২

৩৮.৯৩

৭৫.৮

পাকিস্তান

২৬১

২৪১২

৩৩.৮৩

৬৮.৮

ভারত

২৫৪

২৩৪৬

৩৮.২৮

৭৯

নিউজিল্যান্ড

২১৮

২০৩০

৩৬.৭৮

৭৭.৪

দক্ষিণ আফ্রিকা

১৯৫

১৮৯৪

৩২.৯৬

৭০.০

ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২৮৬

২৭৮৮

৩৩.০০

৭০.৭

অস্ট্রেলিয়া

৩৯৩

৩৭৮৭

৩০.৪০

৬৬.৯

ইংল্যান্ড

৪৮২

৭২৩৮

৩১.৮৪

৭২.৭