সাত গোলের কম খায় না বাংলাদেশ!

আবারও বড় ব্যবধানে হারের হতাশা জিমিদের। ছবি: প্রথম আলো
আবারও বড় ব্যবধানে হারের হতাশা জিমিদের। ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচের আগে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা যতই লড়াইয়ের কথা বলুক না কেন, লক্ষ্য ছিল কম গোল হজম করা। তা আর হলো কোথায়? ভারতের বিপক্ষে সাত গোল হজম করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এর আগে পাকিস্তানের কাছে ৭-০ গোলের পরাজয় দিয়ে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের এশিয়া কাপ। ৭ গোল খাওয়া জিমিদের নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে! সৌভাগ্যের ৭ সংখ্যাটিই এখন বাংলাদেশের অপয়া!

বাংলাদেশের জালে জোড়া গোল করেছেন হারমানপ্রীত সিং এবং একটি করে গোল করেছেন গুজরাত সিং, আকাশদ্বীপ সিং, ললিত উপাধা, অমিত রোহিদাস ও রামানদ্বীপ সিং।
বিশ্ব হকি র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের অবস্থান ছয়, বাংলাদেশ সেখানে ৩৪ নম্বরে। শক্তির পার্থক্যটাও স্পষ্ট। এ ছাড়া এশিয়া কাপের সাতবারের মুখোমুখিতে জয় তো দূরের বাতিঘর, ড্রও করতে পারেনি বাংলাদেশ। আজ দেশের মাটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এ আশা নিয়েই মাঠে এসেছিল প্রায় সাত-আট হাজার দর্শক। বর্তমান প্রজন্মের হকি খেলোয়াড়দের কাছে এর চেয়ে বড় আশীর্বাদ আর কী হতে পারত। অথচ তাঁদের সামনে জিমি বাহিনী খেলল পাড়ার দলের মতো। মাঝমাঠ বা আক্রমণভাগে স্টিকে বলই ধরে রাখতে পারেননি তাঁরা। গুজরাত সিং, আকাশদ্বীপ সিং, ললিত উপাধাদের পিছে পিছেই দৌড়াতে হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
আজ সাত মিনিটেই শুরু হয়েছে বাংলাদেশের গোল হজমের পর্ব। গুজরাত সিংয়ের হিটে পরাস্ত হন নিপ্পন, ১-০। তিন মিনিট পরে একাই বল টেনে নিয়ে ফ্লিকে ২-০ করেন আকাশদ্বীপ সিং। ১৩ মিনিটে ৩-০ করেন ললিত। ২০ মিনিটে অমিত রোহিদাস করেছেন ৪-০। ২৮ মিনিটে স্ট্রোক থেকে হারমানপ্রীতের ৫-০। ৪৬ মিনিটে রামানদীপ ৬-০। ৪৭ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ৭-০ করেছেন হারমানপ্রীতের। বাংলাদেশের অর্জন বলতে তৃতীয় কোয়াটারে কোনো গোল হজম না করা।
এশিয়া কাপে এর আগে কোনো ম্যাচেই ভারতের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯৮২ সালে করাচিতে এশিয়া কাপের প্রথম আসরে ভারতের কাছে হারের ব্যবধান ছিল ৪-০। ১৯৮৯ সালে দিল্লিতে তৃতীয় আসরে ভারত জিতেছিল ৬-০ গোলে। ১৯৯৩ সালে জাপানের হিরোশিমায় এশিয়া কাপের চতুর্থ আসরে ভারতকে ৪ গোলে আটকিয়ে রাখলেও ২০০৩ সালে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ আসরে বাংলাদেশকে ১০ গোলে ভাসিয়েছিল তারা। ২০০৭ সালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের জালে দিয়েছিল ছয় গোল। ২০০৯ সালে মালয়েশিয়ার কুয়ান্তনে অনুষ্ঠিত অষ্টম আসরে ১১-১; যা এশিয়া কাপে ভারতের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের হার। মালয়েশিয়ার ইপোতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ এশিয়া কাপে ভারত জিতেছিল ৯-১ গোলে।