গোল করে ম্যাচ জেতান যে ডিফেন্ডার

নিয়মিত গোল করে ম্যাচ জেতাচ্ছেন নাসিরউদ্দিন। ছবি: প্রথম আলো
নিয়মিত গোল করে ম্যাচ জেতাচ্ছেন নাসিরউদ্দিন। ছবি: প্রথম আলো

নাসিরউদ্দিন ছিলেন পুরোদস্তুর স্ট্রাইকার। জাতীয় দলেও এসেছেন স্ট্রাইকার হিসেবে। কিন্তু ২০১০ সালে জাতীয় দলের সার্বিয়ান কোচ জোরান জর্জেবিচ তাঁকে বানিয়ে দেন ডিফেন্ডার। এরপর থেকে রক্ষণ সামলানোই তাঁর দায়িত্ব। কিন্তু দলের প্রয়োজনে গোল করার অভ্যাসটি তাঁর রয়েই গেছে। আজও গোল করেছেন এই ডিফেন্ডার। নাসিরের একমাত্র গোলেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী।

১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে মাঠে নেমেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। আর ২১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল আবাহনী (ঢাকা)। জিততে পারলে শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছাকাছি পৌঁছানো যাবে, এমন সমীকরণ সামনে রেখেই মাঠে নেমেছিল ধানমন্ডির দলটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হিসাবটি মিলিয়ে দিলেন নাসিরউদ্দিন। গোলের জন্য হাপিত্যেশ করতে থাকা আবাহনীর পক্ষে ৭৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেছেন তিনি। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো থেকে আলতো মাথা ছুঁয়ে দিলে বলটি জালে জড়ায়। অবশ্য গোলটির পেছনে চট্টলার দলটির গোলরক্ষক আশরাফুল রানার দায়ও কম নয়। বলের লাইন মিস করেছেন এই গোলরক্ষক।
চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে ঢাকা আবাহনীতে নাম লিখিয়েছেন নাসিরউদ্দিন। দলের প্রয়োজনে কোচ দ্রাগো মামিচ তাঁকে হোল্ডিং মিডফিল্ড পজিশনে খেলাচ্ছেন। এখান থেকে উঠে গিয়েই গোল করে দলকে জেতাচ্ছেন। ১১ ম্যাচে ৩ গোল করেছেন তিনি। আর তিন ম্যাচেই জিতেছে আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচেও গোল করে আবাহনীকে জিতিয়েছিলেন নাসির। ৮৪ মিনিট পর্যন্ত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে ২-২ সমতায় ছিল ম্যাচটি। ড্র-ই যখন নিয়তি বলে ধরা হচ্ছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে আবাহনীকে মূল্যবান তিনটি পয়েন্ট এনে দিয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন। ওই নাসিরের গোলেই ৩-২ ব্যবধানে সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে শুভসূচনা করেছিল চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। এরপর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের বিপক্ষেও গোল করে দলকে জিতিয়েছেন তিনি। নাসির গোল করলে আবাহনী যেন হারে না।
এই জয়ের ফলে লিগের প্রথম পর্ব শেষে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আবাহনী (ঢাকা)। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় স্থানে শেখ জামাল। আর হেরেও ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে চট্টগ্রাম আবাহনী।