চীনের বিপক্ষে জিততে চায় জিমিরা

পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় গোলের পর ফিতরি সারিকে আলিঙ্গনে বাঁধলেন ফাইজাল সারি। ২৬ মিনিট এই গোল ধরে রেখে মালয়েশিয়া জিতে নিয়েছে সুপার ফোরের প্রথম বড় ম্যাচটা। কাল মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে l প্রথম আলো
পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় গোলের পর ফিতরি সারিকে আলিঙ্গনে বাঁধলেন ফাইজাল সারি। ২৬ মিনিট এই গোল ধরে রেখে মালয়েশিয়া জিতে নিয়েছে সুপার ফোরের প্রথম বড় ম্যাচটা। কাল মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে l প্রথম আলো

চীনের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচটা বাংলাদেশের সুখস্মৃতির। দিল্লিতে বিশ্ব হকি লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে জিমিরা দুর্দান্ত হকি খেলে হারিয়ে দিয়েছিলেন চীনকে (৩–২)।

কিন্তু ওই ম্যাচ তো সেই ২০১৩ সালে। মাঝখানে চার বছর চীনের সঙ্গে আর দেখা হয়নি। আজ যখন দেখা হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গী চলতি এশিয়া কাপে ভালো খেলতে না পারার হতাশা। পাকিস্তান ও ভারতের কাছে সাতটি করে গোল হজম। জাপানের সঙ্গে ১-১ ম্যাচে শেষ দুই মিনিটে দুই গোল খেয়ে হার। গ্রুপে তিন ম্যাচে একটি মাত্র গোল এবং মাত্র একটি পেনাল্টি কর্নার পেয়েছে বাংলাদেশ।

এই রুগ্‌ণ পরিসংখ্যান আজ ‘বাংলাদেশ জিতবে’ আত্মবিশ্বাস জোগায় না। দুই দলের ১৪ লড়াইয়ে বাংলাদেশের মাত্র ৩ জয়, ২ ড্র, ৯ হারের তথ্যটাও উৎসাহব্যঞ্জক নয়। উপরন্তু এই এশিয়া কাপে চীন গ্রুপে ভালো খেলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৪-১ ও মালয়েশিয়ার কাছে ৭-১ গোলে হারলেও ওমানের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়। র‍্যাঙ্কিংয়েও চীন (১৮) এগিয়ে বাংলাদেশের (৩৪) চেয়ে। বল পজেশন এবং বল নিয়ন্ত্রণে দলটি খুব ভালো। দ্রুত জায়গা বদল করে খেলে। যেটি পারছে না বাংলাদেশ। আগের ম্যাচগুলোয় লাল-সবুজের মাঝমাঠ কাজ করেনি। খেলাটা তৈরি করার মতো কোনো প্লে-মেকার নেই এই দলে। তাই ডিফেন্ডার আশরাফুলকে কখনো কখনো বিকল্প হিসেবে মাঝমাঠে ব্যবহার করেছেন কোচ। সব মিলিয়ে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে রাত আটটায় শুরু ম্যাচে তাই ফেবারিট চীনই।

তবে ‘জেতার জন্যই খেলতে হবে, এ ছাড়া আর গতি নেই’ বাংলাদেশ কোচ মাহবুব হারুনের এই কথাটা তাতিয়ে তুলতে পারে জিমিদের। জয়টাও জরুরি। এই ম্যাচ জিতলে পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ খেলা যাবে জাপানের সঙ্গে। জাপান কাল ওমানকে ৫–৩ গোলে হারিয়ে পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচ নিশ্চিত করেছে।

তবে আজ হারলে ওমানের সঙ্গে সপ্তম নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে হবে। বাংলাদেশ লক্ষ্য অবশ্য ষষ্ঠ হওয়া। সে কারণেই আজকের ম্যাচটিই এই এশিয়া কাপে বাংলাদেশের আসল ম্যাচ।

এমন ম্যাচের আগে বারবারই ফিরে আসছে ২০১৩ সালের স্মৃতি। চীনের বিপক্ষে ওই ম্যাচে গোল করে জয় এনে দিয়েছিলেন চয়ন, মিমো, কৌশিক। গোল না পেলেও ম্যাচসেরা ছিলেন জিমি। আজ আবার জেগে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, চার বছর আগে চীনকে হারাতে পারলে আজও পারব। সেদিনের মতো আজ নিজের সেরাটা খেলার চেষ্টা করব।

এই আত্মবিশ্বাসটাকে যদি মাঠে পারফরম্যান্সে রূপান্তরিত করতে পারে বাংলাদেশ, ২০১৩ আবার ফিরতেই পারে!