একাদশ করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের!

রাজ্যের চাপ জেঁকে বসেছে মাশরাফিদের ওপর। ছবি: প্রথম আলো
রাজ্যের চাপ জেঁকে বসেছে মাশরাফিদের ওপর। ছবি: প্রথম আলো

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ একের পর এক ম্যাচ জিতবে, এই আশা নিশ্চয়ই কেউ করেনি। তবে যেভাবে অসহায় আত্মসমর্পণ করছেন মাশরাফিরা, সেটি দৃষ্টিকটু। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও ধবলধোলাইয়ের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। ‘বোঝার ওপর শাকের আঁটি’ হিসেবে যোগ হয়েছে তামিম ইকবাল ও মোস্তাফিজুর রহমানের দল থেকে ছিটকে পড়া। দলের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড়কে হারিয়ে এখন একাদশ করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে!

ঊরুর চোট নিয়ে তামিম দেশে ফিরছেন আগামীকাল। পরশু ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে দেশের বিমান ধরবেন মোস্তাফিজও। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনো জয়ের দেখা না পাওয়া বাংলাদেশের জন্য যে আরও কঠিন দিন অপেক্ষা করছে, না বললেও চলছে। এই দুই খেলোয়াড়কে না পাওয়াটা দলের জন্য কত বড় ক্ষতি, সেটিই আজ ইস্ট লন্ডনে সংবাদমাধ্যমকে বলছিলেন মাশরাফি, ‘ব্যাটিংয়ে দলের সেরা ব্যাটসম্যান আর বোলিংয়ে সেরা বোলারকে হারিয়েছি। তবে একে অজুহাত হিসেবে দেখিয়ে লাভ নেই। শুধু এ জন্যই হেরেছি তা নয়। অনেক ছোট ছোট কারণ ছিল। দল হিসেবে মাঠে ভালো করতে পারিনি। তাতেই অনেকটা পিছিয়ে গেছি। সবকিছু উতরে আসার এখনো সুযোগ আছে। এখনো তিনটা ম্যাচ বাকি (দুটি টি-টোয়েন্টিসহ)। আমরা যদি এখানে ভালো কিছু করতে পারি, এই অভিজ্ঞতা সামনে যেকোনো সফরে কাজে লাগবে।’
কাল সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশ একাদশ কেমন হতে পারে, সেটির ধারণা দেওয়াটাও এখন কঠিন মাশরাফির। একাদশ সাজাতে অধিনায়ককে যে হিমশিম খেতে হচ্ছে, ‘দলের সেরা দুই খেলোয়াড় যখন থাকবে না, তখন সেরা একাদশ করা কঠিনই। যারা আছে, তাদের অবশ্যই ছোট করা যাবে না। যখন দল ভালো খেলে না, তখন চারপাশ থেকে চাপ থাকে। সেটা শারীরিক-মানসিক...। খেলোয়াড় হিসেবে এটা আসবেই। জিততে না পারলে সেটা আরও বেশি হয়। সবকিছু ভুলে যদি শুধু কালকের ম্যাচ নিয়েই সবাই ভাবতে পারে, তাহলে ভালো কিছু সম্ভব। বাইরের বা নিজেদের মানসিক চাপ সামলে খেলাটাই এখন বেশি জরুরি।’