একাডেমির পরিচালক নিয়োগেই ২৮ লাখ রুপি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল ভারত। ফাইল ছবি।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছিল ভারত। ফাইল ছবি।

ভারতীয় ক্রিকেটে খেলোয়াড় তুলে আনার অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমি (এনসিএ)। এর পরিচালক পদে নিয়োগের লক্ষ্যে বিসিসিআই প্রার্থী বাছাইয়ের চুক্তি করেছে কর্ন-ফেরি ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এ খাতে ভারতীয় ক্রিকেটের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তিতে খরচ করেছে ২৮ লাখ ৭৮ হাজার রুপি।

অক্টোবর মাসে ২৫ লাখের ওপরে সব ব্যয়ের হিসাব প্রকাশিত হয়েছে বিসিসিআইয়ের ওয়েবসাইটে। এনসিএর ডিরেক্টর, মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার ও যোগাযোগ খাতে প্রথম কিস্তির এই পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে।

এনসিএ প্রজেক্টের কাজ পুরোদমে শুরু করতে যাচ্ছে বিসিসিআই। বছর দু-একের মধ্যেই ব্যাঙ্গালুরু শহরের অদূরে বিসিসিআইর নিজস্ব জায়গায় এই প্রজেক্ট শুরু করা হবে। এনসিএর ডিরেক্টর পদে তাই সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিতে চাইছে কর্তৃপক্ষ।

এই মুহূর্তে ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির অফিস বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অবস্থিত। সাবেক বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রাজ সিং দুঙ্গারপর এই একাডেমি করার প্রস্তাব করেছিলেন। ২০০০ সালে সৃষ্টি হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের পরিচর্যা করে জাতীয় দলে খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। গৌতম গম্ভীর, হরভজন সিং, জহির খান, যুবরাজ সিংয়ের মতো বিশ্ব কাঁপানো ক্রিকেটাররা উঠে এসেছেন এই একাডেমি থেকে।

খেলোয়াড় তুলে আনতে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি একাডেমি চালানোতে খরচের কোনো কমতি রাখতে চায় না বিসিসিআই। সে জন্যই এত বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করে শুধু পরিচালক খুঁজে বেড়াচ্ছে তারা। বাংলাদেশে এখনো এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। প্রতিভা অন্বেষণ ও পরিচর্যার অভাবে অনেক ভালো ক্রিকেটার দেশের শীর্ষ পর্যায়ে এসেও হারিয়ে গেছেন। দেশের ক্রিকেট সংরক্ষণে বিসিসিআইয়ের এমন পদক্ষেপ দেখে বিসিবি কি উদ্বুদ্ধ হবে? সূত্র: জি নিউজ।