ইতালি কি রাশিয়ার টিকিট পাবে না?

বিশ্বকাপে বুফনদের দেখা যাবে না? ছবি: রয়টার্স
বিশ্বকাপে বুফনদের দেখা যাবে না? ছবি: রয়টার্স

২০০৬ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন তারা। পরের দুটি আসরে অবশ্য তাদের বিদায় ঘটেছে প্রথম পর্ব থেকেই। সেই ইতালিরই ২০১৮ বিশ্বকাপে পা রাখাই কঠিন হয়ে পড়েছে। গত রাতে স্টকহোমে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে অফের প্রথম রাউন্ডে সুইডেনের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় রাউন্ডে ফল নিজেদের পক্ষে আনতে না পারলে ৬০ বছর পর বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে দেখা যাবে না ইতালিকে।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে সুইডেনের বদলি খেলোয়াড় জ্যাকব জনসন ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন। জিয়ান পিয়েরো ভেনচুরার ইতালিকে আগামী সোমবার মিলানের সানসিরো মাঠে জিততে হবে একাধিক গোলে—বিশ্বকাপের রাস্তাটা বেশ কঠিনই হয়ে গেল তাদের জন্য।

ইতালিকে ছাড়া শেষবারের মতো বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৮ সালে সুইডেনে। ব্রাজিল সেবার শিরোপা জেতে। এরপর থেকে প্রতিটি আসরেই শিরোপার দাবিদার হয়েই খেলেছে তারা। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ সালের শিরোপাধারীরা ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জয় করেছিল। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে ফাইনালে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চতুর্থ শিরোপাটি ঘরে তুলেছিল তারা। মাঝে ১৯৭০ ও ১৯৯৪ সালে ইতালি ফাইনালে খেলেছিল।

এবারে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ অঞ্চলের ‘জি’ গ্রুপে স্পেনের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে আর মেসিডোনিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেই সর্বনাশটা হয়েছে ‘আজ্জুরি’দের। এই গ্রুপে অন্য দলগুলো ছিল আলবেনিয়া, ইসরায়েল ও লিখটেনস্টাইন।

সুইডেনের বিপক্ষে প্লে অফ আগে থেকেই চোখ রাঙাচ্ছিল ইতালিকে। যথেষ্ট চাপে ছিল দল। স্টকহোমে সেই চাপটাই কাল হয়ে দাঁড়াল। কোচ ভেনচুরা অবশ্য এখনো আশা ছাড়ছেন না, ‘আমরা এই ম্যাচে আরও ভালো করতে পারতাম। কিন্তু এখনো আমাদের হাতে ৯০ মিনিট আছে। সেখানে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।’

ম্যাচে বরাবরের মতোই দুর্দান্ত খেলেছেন গোলকিপার জিয়ানলুইজি বুফন। তিনি না থাকলে হয়তো অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। তবে ম্যাচের শুরুর দিকে তুরিনো স্ট্রাইকার বেলোত্তির একটি হেড বাইরে দিয়ে চলে না গেলে ম্যাচের পরিস্থিতি অন্য রকম হলেও হতে পারত। এই ব্যাপারটি ম্যাচ শেষ কোচ ভেনচুরা বলেছেনও, ‘শুরুর দিকে যে সুযোগগুলো পেয়েছিলাম, তার একটি কাজে লাগাতে পারলেও ম্যাচটা অন্য রকম হতে পারত।’ সূত্র: এএফপি, রয়টার্স।