জহুরুল-জৌলুশে বিপিএল-শীর্ষে ঢাকা

শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ম্যাচ জেতালেন জহুরুল। ছবি: শামসুল হক
শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে ম্যাচ জেতালেন জহুরুল। ছবি: শামসুল হক

শেষ ওভারে জিততে ঢাকার প্রয়োজন ছিল ছয় রান। কার্লোস ব্রাফেট প্রথম তিন বলই করলেন ইয়র্কার। তৃতীয় বল থেকে এক রান নিতে পারলেন জহুরুল। বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে ঢাকাকে জয়ের বন্দরে নিয়ে আসা এই জহুরুলই তখন ‘ভিলেন’ হতে চলেছেন। চতুর্থ বলে এক রান নিয়ে জহুরুলকে স্ট্রাইকে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন। পঞ্চম বলেই ‘রিভার্স স্কুপ’ খেলে ঢাকাকে ৪ উইকেটে জিতিয়ে ফেরেন একসময় জাতীয় দলে খেলা এই ব্যাটসম্যান। ৩৯ বলে অপরাজিত ৪৫ রান করে আজকের ম্যাচের ‘বীর’ তিনিই।

সত্যি বলতে কি, এমন ম্যাচের অপেক্ষাতেই ছিল বিপিএল। শ্বাসরুদ্ধকর এক সমাপ্তি, ম্যাচের নায়ক দেশি কোনো ক্রিকেটার—বিপিএলের আয়োজনই তো এমন কিছুর জন্য। ৪ নভেম্বর সিলেটে শুরু হওয়া বিপিএলের পঞ্চম আসর দশম দিনে এসে উপহার দিল এমন কিছু।
পাওয়ার প্লেতে গোটা কয়েক উইকেট হারানো এবারের বিপিএলের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্র ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। দলে জহুরুল ও মোসাদ্দেকের মতো ব্যাটসম্যান থাকতে সাকিবদের ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম চারজনই কিনা বিদেশি! অথচ ষষ্ঠ ওভারের শুরুতে ২৪ রান তুলতেই চার বিদেশি আউট! সাকিব যখন ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন, তখন ঢাকার সংগ্রহ ৪১/৫। ভাগ্যিস কাইরন পোলার্ড ছিলেন। জহুরুলের সঙ্গে ৭৩ রানের ঝোড়ো এক জুটি করেছেন পোলার্ড। ২৩ বলে ৫৫ রান করেছেন ক্যারিবীয়, ছয় মেরেছেন ৬টি। তবে ১৫তম ওভারে শফিউল ইসলামের বলে পোলার্ড আউট হতেই আবারও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় খুলনা।

পোলার্ডের ৫৫ রানে ম্যাচে ফিরেছিল ঢাকা। ছবি: শামসুল হক
পোলার্ডের ৫৫ রানে ম্যাচে ফিরেছিল ঢাকা। ছবি: শামসুল হক

তবে জহুরুল আর মোসাদ্দেকের মতো ব্যাটসম্যান যে দলে ৬ আর ৮-এ ব্যাটিং করেন, তাদের আশা থেকেই যায়। পোলার্ড আউট হয়ে যাওয়ার পর এই দুজন ৪৩ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। মোসাদ্দেক অপরাজিত থাকেন ১২ বলে ১৪ করে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৬ রান করে খুলনা টাইটানস। তাঁদের শুরুটাও ভালো হয়নি। ঢিমে তালে ব্যাটিং করেছেন ওপেনাররা, পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩০ রানও জমা হয়নি বোর্ডে। ৭১ রানে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যখন ফিরে যাচ্ছেন, ততক্ষণে রান ১৩০ পেরোবে কি না, তা নিয়ে ফিসফাস চলছে। তবে খেল দেখিয়েছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার কার্লোস ব্রাফেট। ২৯ বলে তাঁর অপরাজিত ৬৪ রানে ভর করে দেড় শ রানের কোটা পেরিয়েছে টাইটানস। রাইলি রুশো করেছেন ৩৪ রান। ৪০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন ঢাকার পেসার আবু হায়দার।
আজ দিনের পরবর্তী খেলায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের মুখোমুখি হচ্ছে চিটাগং ভাইকিংস। খেলা শুরু সন্ধ্যা ছয়টায়।