ম্যাককালামও বললেন মিরপুরের উইকেট 'বাজে'

ঢাকার উইকেট কি আসলেই টি-টোয়েন্টির উপযোগী? প্রশ্নটা এবার তুললেন ম্যাককালাম। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকার উইকেট কি আসলেই টি-টোয়েন্টির উপযোগী? প্রশ্নটা এবার তুললেন ম্যাককালাম। ছবি: প্রথম আলো

বিসিবি এখন কী বলবে? মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে বেশির ভাগ খেলোয়াড় কিংবা কোচই নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। উইকেট নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বোর্ডের চিঠি পর্যন্ত পেয়েছেন তামিম ইকবাল! মিরপুরের উইকেটকে কাঠগড়ায় তুললেন কিউই তারকা ব্রেন্ডন ম্যাককালামও।

আজও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। ঢাকা ডায়নামাইটসের ইনিংসের শুরুতে বোঝাই কঠিন হচ্ছিল, এটা টি-টোয়েন্টি নাকি টেস্ট ম্যাচ! রংপুর রাইডার্স তিন স্লিপ নিয়ে ঘিরে ধরেছিল ঢাকার ব্যাটসম্যানদের! তারকায় ঠাসা ঢাকা টেনেটুনে করেছে ৭ উইকেটে ১৩৭ রান। রংপুর সেটির জবাবে করতে পেরেছে ৯৭ রান।
এমন উইকেট কোনো ব্যাটসম্যানেরই ভালো লাগার কথা নয়। ম্যাককালামেরও ভালো লাগেনি, ‘এটা খুব বাজে উইকেট ছিল। এখানে অনেক ভালো, বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। এখানে দর্শকেরা রোমাঞ্চকর ক্রিকেট দেখতে চায়। আমার মনে হয় না তারা আজ এ রকম কোনো ম্যাচ দেখতে পেয়েছে। আজ যা হয়েছে তার চেয়ে ভালো উইকেটে সামনে খেলা হওয়া উচিত।’
উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ঢাকার প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদী মারুফও, ‘আমার কাছে অতটা ভালো মনে হয় না (উইকেট)। চট্টগ্রাম-সিলেটের উইকেট অনেক ভালো ছিল। জানি না কেমন হচ্ছে। এর মধ্যেই আমাদের খেলতে হবে।’
টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বিস্ফোরক দুই ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল এবং ম্যাককালাম এবার খেলছে রংপুরের হয়ে। কিন্তু প্রত্যাশার প্রতিদান কি তারা পুরোপুরি মেটাতে পারছেন? ৮ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ২৬.২৫ গড়ে গেইলের রান ২১০। ম্যাককালামের অবস্থা আরও খারাপ, ৯ ম্যাচে ১৬.৮৮ গড়ে ১৫২ রান। কেন দুজন এখনো নিজেদের ছায়া হয়ে আছেন, সেটির ব্যাখ্যায় ম্যাককালাম উইকেটকেই টেনে আনলেন, ‘গত কয়েক বছর আমি অন্য রকম উইকেটে খেলে অভ্যস্ত ছিলাম। এখানে তো টার্ন আর বাউন্সের ব্যাপারে নিশ্চিতও হতে পারছি না। বল কখনো কখনো ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি, ওরা জানিয়েছে আগে পিচ বেশ ভালো ছিল। কিন্তু একজন স্ট্রোকমেকার হিসেবে এখানে খেলা অনেক কঠিন হচ্ছে। অবশ্যই, আমার পারফরম্যান্স আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। তবে আরেকটু ভালো উইকেট পেলে ভালো হতো। সে ক্ষেত্রে আমি হয়তো আরেকটু বেশি ধারাবাহিক হতে পারতাম।’
চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের নাহয় আচরণবিধির শিকল পরিয়ে উইকেট নিয়ে সমালোচনার পথ বন্ধ করছে বিসিবি। কিন্তু আচ্ছাদন দিয়ে তো বাস্তবতা আড়াল করা যায় না! উইকেটের প্রধান পরিচর্যাকারীর সামর্থ্য নিয়ে কি এবার ভাববে বিসিবি?