ইংলিশ ফিনিশিং ছাপিয়ে বাংলাদেশের মতিনের সলো গোল

দুর্দান্ত এক গোলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন মতিন। ফাইল ছবি
দুর্দান্ত এক গোলে সবাইকে চমকে দিয়েছেন মতিন। ফাইল ছবি

ইউরোপিয়ান ফুটবলে কালেভদ্রে দেখা যায় এমন সব দুর্দান্ত সলো গোল। বাংলাদেশি উইঙ্গার মতিন মিয়ার পায়ে তেমনি এক গোল দেখা গেল আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। নিজেদের সীমানার ওপর থেকে বলটি নিয়ে সাপের মতো একে একে চার ডিফেন্ডার কাটিয়ে বের হয়ে গেলেন। গোলপোস্ট ছেড়ে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ইনসাইড ডজে ঘোল খাইয়ে ফাঁকা পোস্টে আয়েশি প্লেসিং। গোলটি চোখের শান্তির জন্যই তো যথেষ্ট। বারবার ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখার মতো এক গোল। মতিনের দুর্দান্ত গোলের সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ২-০ গোলে হারিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

আরামবাগ ও ফরাশগঞ্জের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে টানা ড্রয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে গিয়েছিল শিরোপা দৌড়ে থাকা সাইফ। ইংলিশ স্ট্রাইকার চার্লি শেরিংহাম ও মতিন মিয়ার দুর্দান্ত গোলে আজ তাদের কিছুটা স্বস্তি। মতিনের আগে শেরিংহামের গোলটি ছিল ‌‘ক্লিনিক্যালি ফিনিশিংয়ের’ প্যাকেজ। বাঁ প্রান্ত থেকে ওয়েডসনের বাড়ানো বল দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার দুই সেন্টারব্যাককে ছিটকে দেখেশুনে প্লেসিংয়ে গোলের খাতা খুলেছেন শেরিংহাম। ঢাকার মাঠে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। কিন্তু বদলি নেমে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন প্রথমবার প্রিমিয়ার ফুটবলে নাম লেখানো মতিন মিয়া। কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার হ্যাম্বার ভ্যালেন্সিয়ার বদলি নেমে চার মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত সলো গোলটি করেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দৈর্ঘ্য ১২০ গজ। সে হিসাবে বল নিয়ে প্রায় ৮০ গজ পাড়ি দিয়েছেন তিনি, সময় নিয়েছেন আনুমানিক ১০ সেকেন্ডের মতো।

সাইফের জার্সিতে নিয়মিত একাদশে লেফট উইঙ্গার হিসেবে দেখা যেত মতিন মিয়াকে। কিন্তু ওয়েডসনকে ওই পজিশনে খেলানোতে আজ একাদশে জায়গা হয়নি তাঁর। নেমেছিলেন ৮৯ মিনিটে। আর অতিরিক্ত যোগ করা সময়ের ৯৩ মিনিটে গোলটি করেছেন তিনি। লিগে এটি তাঁর তৃতীয় গোল।

এই জয়ে ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে সাইফ। আর আট পয়েন্ট নিয়ে ১১তম অবস্থানে মুক্তিযোদ্ধা।