রাজনের হাসি কেড়ে নিলেন সিও জুনাপিও

সমতা মেনে নিতে হয়েছে আরামবাগ ও ব্রাদার্সকে। ছবি: বাফুফে
সমতা মেনে নিতে হয়েছে আরামবাগ ও ব্রাদার্সকে। ছবি: বাফুফে

কোন গোলটিকে এগিয়ে রাখা যায়? রাজন মিয়ার গোলটি যদি হয় দলীয় বোঝাপড়ার প্রতীক। তাহলে সিও জুনাপিওর গোলটি ব্যক্তিগত ঝলক। এই দুজনের গোলে সমতায় (১-১) শেষ হয়েছে আরামবাগ ও ব্রাদার্সের মধ্যকার ম্যাচটি।

শেষ তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলে ভদ্রস্থ চেহারা পেয়েছে আরামবাগ। দ্বিতীয় পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই তাদের উন্নতিটা চোখে পড়ার মতো। মারুফুলের দলের একটা বিশেষত দাঁড়িয়ে গিয়েছে উপভোগ্য প্রতি আক্রমণ ফুটবল। তরুণ শিষ্যরা ভালোই রপ্ত করেছেন সেটা। দ্বিতীয়ার্ধের ৪৯ মিনিটে আজকের গোলটিও এসেছে প্রতি আক্রমণ থেকে। সেন্টারব্যাক কিরণের কাছ থেকে পাওয়া বলটি নিয়ে মিডফিল্ডার রাজন বাঁ প্রান্ত দিয়ে আড়াআড়ি ঢুকে পড়েন বক্সে। সোহেল রানার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে প্লেসিং। গোলটিতে স্ট্রাইকার সোহেলের অবদান অনেক। নিজে একটু নিচে নেমে দুই প্রতিপক্ষ সেন্টারব্যাক টেনে এনে গোলমুখটা খুলে দিয়েছেন তিনিই। দলীয় বোঝাপড়ার দুর্দান্ত রেসিপি।
কিন্তু রাজনের হাসি কেড়ে নিয়েছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সিও জুনাপিও। ৮৩ মিনিটে এনামুলের কর্নার থেকে শূন্যে ভেসে সাইড ভলিতে সমতায় ফিরিয়েছেন তিনি। দুর্দান্ত এক গোল। প্রিমিয়ার ফুটবলে আজ দুর্দান্ত সব গোলের মালা। দুই ম্যাচ মিলিয়ে মোট গোল হয়েছে চারটি। সব কটি গোলই ছিল দেখার মতো। ১৫ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অষ্টম স্থানে আরামবাগ। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে নয়ে ব্রাদার্স।