দিল্লির দূষণ ভাবাচ্ছে আইসিসিকেও
দিল্লির দূষণ ভাবতে বাধ্য করল আইসিসিকেও। ধোঁয়াশাক্রান্ত দিল্লিতে টেস্ট ম্যাচ কেন? এ প্রশ্ন তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। প্রথমে শ্রীলঙ্কার এমন প্রশ্নকে হার এড়ানোর অজুহাত বলে উড়িয়ে দেওয়া ভারতও এখন নমনীয় হয়েছে। দূষণ নিয়ে এত সব কাণ্ডের পর আইসিসিও ভাবছে ভবিষ্যতে এ নিয়ে নিয়ম করার কথা।
প্রতি শীতেই দিল্লির দূষণ সবার নজরে পড়ে। এবার এমন সময়ে দিল্লিতে টেস্ট আয়োজন নিয়ে তাই প্রশ্ন ছিল। ভারতীয় মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) প্রথম থেকেই ম্যাচ আয়োজনের বিরোধিতা করে এসেছে। তারা বিসিসিআইয়ের কাছে তৃতীয় টেস্ট নিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছে। আর শ্রীলঙ্কা দল তো ভবিষ্যতে দূষণ মিটারও ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে।
শ্রীলঙ্কা দলের ম্যানেজার আশঙ্কা গুরুসিংহা পরিস্থিতি কতটা খারাপ ছিল সেটা জানিয়েছেন, ‘খেলোয়াড়েরা নিশ্বাস নিতে পারছিল না, তাই অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়েছিল। এমনকি ভারত দলও ড্রেসিংরুমে সিলিন্ডার রেখেছিল!’ আইসিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আইসিসি দিল্লি টেস্টের অবস্থা খেয়াল করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু হলে কী করা উচিত, এ নিয়ে ভেবে দেখছে। ফেব্রুয়ারির আইসিসি মিটিংয়েই আলোচনা হবে এ নিয়ে।’
আইএমএর সভাপতি কে কে আগারওয়াল বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি লুকাননি। তাঁর ভাষায় এতে শিশুদের ভুল বার্তা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বাতাসে গ্রহণযোগ্য পিএম-২.৫ লেভেল (বস্তু কণার পরিমাণ) ১০। সেখানে দিল্লির বাতাসে এর পরিমাণ ৩০০! এমন পরিস্থিতিতেও টেস্ট আয়োজন শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে বলে মনে করেন আগারওয়াল। বিসিসিআইকে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ শিশুদের এই ধারণা দিল, পিএম-২.৫ এর মাত্রা ৩০০ এর বেশি হলেও ক্রিকেট খেলা যাবে!’ চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, এমন অবস্থায় খেলা হলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে। আগারওয়ালের দাবি বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতার মতো দূষণকেও ম্যাচ কন্ডিশনের আওতায় আনা উচিত।
শ্রীলঙ্কান ম্যানেজার গুরুসিংহা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার পরামর্শ দিয়েছেন সবাইকে, ‘আইসিসির ম্যানেজারদের সবার এ নিয়ে বসা উচিত। আমি বলছি না তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নিতে, কিন্তু একটা মান ঠিক করতে হবে। আলোকস্বল্পতার লাইট মিটারের মতো এখানেও দূষণ মিটার ব্যবহার করা যায়।’ সূত্র: ক্রিকইনফো।