ব্যাটে আফ্রিদির ছক্কা, বলে প্রতিপক্ষের অক্কা!

ঢাকার ফাইনালে ওঠার পেছনে বড় অবদান আফ্রিদির। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকার ফাইনালে ওঠার পেছনে বড় অবদান আফ্রিদির। ছবি: প্রথম আলো

রংপুর রাইডার্সের বাঁচা-মরার লড়াইয়ে একাই জেতালেন ক্রিস গেইল। তা-ই দেখে শহীদ আফ্রিদিও হয়তো গেইলের মতো হতে চেয়েছিলেন। তাঁর ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২০০ টপকে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। কিন্তু ১৯ বলে ৩০ রান করেই আফ্রিদি আউট। দর্শকেরা তাঁর ব্যাট থেকে ৪টি ছক্কা দেখলেও নড়েচড়ে বসার আগেই থেমে গেল ছক্কার বৃষ্টি।

পরে বোলিংয়ে অবশ্য পুষিয়ে দিলেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের টপ অর্ডারে সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালকে ফিরিয়েছেন দ্রুতই। ১০ম ওভারে তামিম যখন তাঁর বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার, কুমিল্লার স্কোর ৫ উইকেটে ৫৫। ট্রিপল ফাইভ তখন কুমিল্লাকে ভয়ই দেখাচ্ছে। ঢাকার জয়ের পথে বড় বাধাটাও যে আফ্রিদি সরিয়ে দিলেন।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। টি-টোয়েন্টিতে বরাবরই বিপজ্জনক ডোয়াইন ব্রাভোকেও ফিরিয়েছেন আফ্রিদি। এরপর তুলে নিয়েছেন কুমিল্লার শেষ উইকেট আল-আমিনকে। এ ম্যাচে তাঁর বোলিং ফিগার ৪-১-১৬-৩। আরেক অলরাউন্ডার এবং ঢাকার অধিনায়ক সাকিব ৩ ওভারে ১৯ রানে ২ উইকেট নিলেও ম্যাচসেরা আফ্রিদিই।