বিপিএলের সেরা যুগলবন্দী

জনসন চার্লসের দারুণ এক সেঞ্চুরিতে ইতিহাসের প্রথম ‘দুই দিনের’ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। কম যাননি কালই এই আসরে প্রথম ফিফটির দেখা পাওয়া আরেক বিদেশি ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। এই দুজনের বিধ্বংসী এক জুটিতে শুরুতেই ম্যাচ থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ছিটকে দেয় রংপুর রাইডার্স। মজার ব্যাপার হলো এবারের বিপিএলের সেরা পাঁচ জুটির দলই কিন্তু শেষ পর্যন্ত বের করে নিয়েছে জয়। ক্রিকেটে দারুণ একটা ব্যাটিং জুটি যে ম্যাচ জয়ের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ সেটি আবারও প্রমাণ হলো বিপিএলে। ফাইনালের আগে একটু চোখ ফিরিয়ে নিন বিপিএলের এবারের মৌসুমের সেরা পাঁচটি জুটির দিকে...

এবারের বিপিএলের সেরা জুটি গড়েছেন চার্লস ও ম্যাককালাম। ছবি: প্রথম আলো
এবারের বিপিএলের সেরা জুটি গড়েছেন চার্লস ও ম্যাককালাম। ছবি: প্রথম আলো


জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ১৫১ (রংপুর রাইডার্স)
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারটি বৃষ্টি-বিভ্রাটে দুই দিনে শেষ হয়েছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে রান খরায় ভুগতে থাকা দুই ব্যাটসম্যান রংপুর রাইডার্সকে পাহাড় সমান পুঁজি এনে দেন। এই দুজনের ১৫১ রানের জুটি শুধু দ্বিতীয় উইকেট নয় এই টুর্নামেন্টেরই সর্বোচ্চ রানের জুটি। ৬৩ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন জনসন চার্লস, ৪৬ বলে ৭৮ রান করে আউট হয়েছেন ‘বিগ ম্যাক’ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। সব মিলিয়ে ৫টি বাউন্ডারি ও ১৫টি ছক্কা মেরেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

সেঞ্চুরির পর গেইলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মিথুন। ছবি: প্রথম আলো
সেঞ্চুরির পর গেইলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন মিথুন। ছবি: প্রথম আলো


ক্রিস গেইল ও মোহাম্মদ মিথুন, ১৪৬* (রংপুর রাইডার্স)

এলিমিনেটরে দিনের প্রথম খেলায় ১৬৭ রানের লড়াকু স্কোর গড়েছিল খুলনা টাইটানস। রংপুরের হয়ে ওপেনার হিসেবে খেলা সোহাগ গাজী ও তিন নম্বরে নামা ব্রেন্ডন ম্যাককালাম আউট হয়ে গেলেও থামেননি টি-টোয়েন্টির অবিসংবাদিত ‘বাদশাহ’ ক্রিস গেইল। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে ১৯তম সেঞ্চুরির ইনিংসে জুটি বেঁধেছিলেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মিথুনের সঙ্গে। তাতেই অসহায় খুলনার বোলার-ফিল্ডাররা। জুটিতে মিথুনের অবদান মোটে ৩০। ৭ চার আর ১২ ছক্কায় সাজানো এই জুটি।

ফিফটি করলেন নারাইন, পাশে ডেনলি। ছবি: প্রথম আলো
ফিফটি করলেন নারাইন, পাশে ডেনলি। ছবি: প্রথম আলো


জো ডেনলি ও সুনীল নারাইন, ১২৯ (ঢাকা ডায়নামাইটস)

ঢাকা ডায়নামাইটস বিপিএল ইতিহাসেরই সবচেয়ে সফল দল। তাঁদের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের লড়াইয়ে দাপুটে জয়ই তুলে নিয়েছিল ঢাকা। আর তাঁর ভিত্তি গড়েছিলেন দুই ওপেনার জো ডেনলি আর সুনীল নারাইন। প্রথম উইকেট জুটিতে ১২৯ রান যোগ করেছিলেন এই দুজন। ৩৪ বলে ৬৯ রান করেছিলেন নারাইন, ৫৪ বলে ৫৩ রান ডেনলির। দুজনে মিলে সমান ৮টি করে চার ও ছয় হাঁকিয়েছেন ঢাকার দুই ওপেনার।

থারাঙ্গা ও ফ্লেচারের জুটিতে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল সিলেট সিক্সারস। ছবি প্রথম আলো
থারাঙ্গা ও ফ্লেচারের জুটিতে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল সিলেট সিক্সারস। ছবি প্রথম আলো


উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার, ১২৫ (সিলেট সিক্সার্স)

টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই শতরান ছাড়ানো জুটির দেখা পেয়েছিল বিপিএল। ১৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সিলেট সিক্সার্সের দুই ওপেনার জড়ো করেছিলেন ১২৫ রান। সিলেটকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৫১ বলে ৬৩ রান করেন ফ্লেচার। ৪৮ বলে ৬৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন থারাঙ্গা। দুজনের বাউন্ডারি ৯ চার ও ৫ ছক্কায় এটিই এবারের বিপিএলের চতুর্থ সর্বোচ্চ ব্যাটিং-জুটি।

১২২ রানের জুটির পথে মুমিনুলের শট। ছবি প্রথম আলো
১২২ রানের জুটির পথে মুমিনুলের শট। ছবি প্রথম আলো


লেন্ডল সিমন্স ও মুমিনুল হক, ১২২ (রাজশাহী কিংস)
মাত্র দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সেরা পাঁচ জুটিতে ঠাঁই পেয়েছেন রাজশাহীর বাঁহাতি ওপেনার মুমিনুল। তবে তাঁর অপরাজিত ৬৩ রানই জুটির হিসেবে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সেরা অবদান। সেরা দুই জুটির রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১২২ রানের জুটিতে রাজশাহীর জয় নিশ্চিত করেছিলেন দুই ওপেনার। ১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ বলে ৬৩ করেন মুমিনুল। সিমন্স করেন ৫০ বলে ৫৩। দুজনে মিলে মেরেছেন ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা।

এক নজরে বিপিএলের সেরা পাঁচ ব্যাটিং জুটি

জুটি

প্রতিপক্ষ

 রান

জনসন চার্লস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (রংপুর রাইডার্স)

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস

১৫১

ক্রিস গেইল ও মোহাম্মদ মিঠুন (রংপুর রাইডার্স)

খুলনা টাইটানস

১৪৬*

জো ডেনলি ও সুনীল নারাইন (ঢাকা ডায়নামাইটস)

রাজশাহী কিংস

১২৯

উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার (সিলেট সিক্সারস)

ঢাকা ডায়নামাইটস

১২৫

লেন্ডল সিমন্স ও মুমিনুল হক (রাজশাহী কিংস)

রংপুর রাইডার্স

১২২