গেইল-ম্যাককালামকে কিনতেই ৭ কোটি!

নাসির হোসেনের পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশেদ আবদুল্লাহ। সৌজন্য ছবি
নাসির হোসেনের পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশেদ আবদুল্লাহ। সৌজন্য ছবি

ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মানেই টাকার ঝনাঝনানি। প্রতিটি দলের পেছনে মালিকপক্ষের বিনিয়োগ নেহাত কম নয়। তবে সে তুলনায় তারা কতটা লাভবান হচ্ছে, সেটি ভিন্ন আলোচনা। কিন্তু এবার বিপিএলে যে বিপুল দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড়ের সমাবেশ, স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে, কোন ফ্র্যাঞ্চাইজির বিনিয়োগ কেমন!

যদিও টাকা-পয়সার ব্যাপারটা নানা কারণে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি গোপন রাখার চেষ্টা করে; নির্দিষ্ট অঙ্ক বলা তাই কঠিন। তবে বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি সূত্রে জানা যায়, এবার বিপিএলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল দল ছিল রানার্সআপ ঢাকা ডায়নামাইটস। দলটির পেছনে প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপ। তারকাবহুল দলটির বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় হয়েছে বিদেশি খেলোয়াড় কিনতে। দ্বিতীয় ব্যয়বহুল দল ছিল চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। দলটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ ব্যয় করেছে ১৫ কোটি টাকারও বেশি। শুধু ক্রিস গেইল-ব্রেন্ডন ম্যাককালামের পেছনেই তারা ব্যয় করেছে ৭ কোটি টাকা! দুই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান অবশ্য শিরোপা জিতিয়ে ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন রংপুরকে!

গেইল-ম্যাককালামকে কিনতে ৭ কোটি টাকা খরচ করেছে রংপুর। ফাইল ছবি
গেইল-ম্যাককালামকে কিনতে ৭ কোটি টাকা খরচ করেছে রংপুর। ফাইল ছবি

সবচেয়ে কম খরচে দল গড়েছিল চট্টগ্রাম, যেটি ১০ কোটি টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকায় দল গড়েছে।

তবে একটা দিক দিয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে সিলেট সিক্সার্স। ভালো শুরুর পরেও শেষ চারে উঠতে ব্যর্থ ফ্র্যাঞ্চাইজিটি সবার আগে খেলোয়াড়দের শতভাগ পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছে।

এবার পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো দলের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে অভিযোগ শোনা যায়নি এখনো।