দুই দিনেই শেষ চার দিনের টেস্ট!

মুজারাবানিকে আউট করেছেন কেশব মহারাজ। ছবি এএফপি
মুজারাবানিকে আউট করেছেন কেশব মহারাজ। ছবি এএফপি

চার দিনের টেস্ট পরীক্ষা। পরীক্ষার্থী দুই—দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। চার দিনের সেই পরীক্ষা শেষ দুই দিনেই। যাতে ডাহা ফেল জিম্বাবুয়ে। পাঁচ সেশনেরও কম সময়ে ম্যাচটা ইনিংস ব্যবধানে জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জিম্বাবুইয়ানরা পারলে মার্কশিট (পড়ুন স্কোরকার্ড) লুকিয়ে ফেলে!

পরশু ৩০৯ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই রান করেই কিনা ম্যাচটা ইনিংস ও ১২০ রানে জিতল এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল। জিম্বাবুয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছে মাত্র ১৮৯ রান। প্রথম ইনিংসে ৬৮, দ্বিতীয় ইনিংসে ১২১। দুই দলের তিন ইনিংস মিলে ম্যাচে বল হয়েছে মাত্র ৯০৭টি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যা টেস্টে তৃতীয় সর্বনিম্ন। ২০০৫ সালের পর দুদিনে শেষ হওয়া প্রথম টেস্টও এটা। আগের সেই লজ্জাটাও জিম্বাবুয়ের। সেবার নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ইনিংস ও ২৯৪ রানে।

পরশু রাতে ফ্লাডলাইটের আলোয় প্রথম গোলাপি বলে খেলে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করে ৩০ রানে ৪ উইকেট খোয়ায় দলটি। সেই ভয়েই কিনা কাল সূর্য ডোবার আগেই ম্যাচ শেষ করে হোটেলে ফিরল জিম্বাবুইয়ানরা। দক্ষিণ আফ্রিকানদের দুর্দান্ত বোলিং তো অবশ্যই কারণ, তাতে অবদান আছে জিম্বাবুইয়ানদের বাজে ব্যাটিংয়েরও।

আগের দিন প্রথম ইনিংসে ১৬ ওভার ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। কাল আর মাত্র ১৪.১ ওভারেই শেষ ওই ইনিংস। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের এই হাল কে করলেন? মরনে মরকেল! টেস্টে সর্বশেষ ৫ উইকেট পেয়েছিলেন ২০১২ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাডিলেডে। কাল পেলেন আবার। ২১ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট, টেস্টে সপ্তমবারের মতো ৫ উইকেট তাঁর।
৩০৯ রান করেও দক্ষিণ আফ্রিকা এগিয়ে ২৪১ রানে! তাড়াতাড়ি ম্যাচ শেষ করি, এই চিন্তা থেকেই জিম্বাবুয়েকে ফলো অন করালেন ডি ভিলিয়ার্স।

জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি হতাশ করছিল ভারপ্রাপ্ত প্রোটিয়া অধিনায়ককে। তুলে ফেলেছিল ৫৪ রান। জিম্বাবুয়ের প্রতিরোধের গল্প ওই পর্যন্তই। ৫৪ থেকে ১২১—এই ৬৭ রানেই উধাও ১০ উইকেট। পেসারদের দাপটে প্রথম ইনিংসে বল হাতে না পাওয়া কেশব মহারাজের স্পিনে এবার কাবু ক্রেমাররা। ৫৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ক্রিকইনফো।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩০৯/৯ ডি.। জিম্বাবুয়ে: ৩০.১ ওভারে ৬৮ (জারভিস ২৩, বার্ল ১৬; মরকেল ৫/২১, রাবাদা ২/১২, ফিকোয়াও ২/১২) ও ৪২.৩ ওভারে ১২১ (আরভিন ২৩, ক্রেমার ১৮*, টেলর ১৬, চিবাবা ১৫, মুজারাবানি ১০, মাসাকাদজা ১৩; মহারাজ ৫/৫৯, ফিকোয়াও ৩/১৩)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস ও ১২০ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এইডেন মার্করাম।