এক নজরে ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দিন

শুক্রবার রাইডের দ্বিতীয় দিনে ১৬০ কিলোমিটারেরও বেশি পথ অতিক্রম করেছেন সাইক্লিস্টরা। দিনাজপুর থেকে পরবর্তী গন্তব্য ছিল বগুড়া। উত্তরবঙ্গের ঠান্ডাতে উৎসাহী অনেকেই আবার কাবু হয়ে পড়েন। ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় সকাল সাড়ে সাতটায় শুরু হয় রাইড। ৫০ কিলোমিটার যেতেই প্রায় দুই ঘণ্টা সময় শেষ! শুরুটাকে মোটেও ভালো বলা চলে না।

আয়োজকদের কাছ থেকে কঠিন নির্দেশনা এল—পরবর্তী ৫০ কিলোমিটারে ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার বেগে যেতে হবে। মুহূর্তেই যেন রাইডের চেহারা বদলে গেল। শুক্রবারের আয়েশি সাইকেল ভ্রমণ হয়ে গেল দারুণ প্রতিযোগিতাপূর্ণ।

দ্বিতীয় বিরতিতে নাশতা-পানি সেরে পুরো দল যাত্রা শুরু করে দিনের শেষ ৬০ কিলোমিটারের জন্য। এবার বাদ সাধে বেহাল দশার রাস্তা, বেশ কিছু বাজার আর বিচ্ছিরি ট্রাফিক। কিন্তু সাপোর্ট টিম আর স্বেচ্ছাসেবকদের ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টায় ভোগান্তিটা ছিল সহনীয় মাত্রায়। রাইড ম্যানেজার, অফিশিয়াল থেকে শুরু করে স্বেচ্ছাসেবকেরা সবাই নেমে পড়েন রাস্তায়। কারও হাতে মাইক, কেউবা পুলিশের ভেস্ট গায়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেছেন; অনেকেই দৌড়েছেন মাইলের পর মাইল। রাইডারদের প্রায় সবার মত, ‘এর থেকে ভালো সাপোর্ট আর হয় নাকি!’

এসব প্রতিকূলতায় কয়েকজন এক-দুবার পিছিয়ে পড়েছেন বটে, কিন্তু পুরো দলের পারফরম্যান্স ছিল দেখার মতো। বাতাসে ফিসফাস, অফিশিয়ালরা নাকি চেষ্টা করেও রাইডের পয়েন্ট কাটতে পারেননি। দলীয় শৃঙ্খলা আর নৈপুণ্য সবই ছিল আগের দিনের চেয়ে অনেক গোছানো।

বগুড়ায় ফরচুন ট্যুর ডি বাংলাদেশের যাত্রা শেষ। গতকাল শ্রীমঙ্গল পৌঁছে এক দিনের বিশ্রাম কাটিয়েছে সবাই। আজ আবার ১০০ কিলোমিটার রাইড শুরু করেছে সাইক্লিস্টদের দল।