বঙ্গবন্ধুতে ইংলিশ শেরিংহামের জোড়া গোল

শেরিংহামকে নিয়ে দলের উল্লাস। সৌজন্য ছবি
শেরিংহামকে নিয়ে দলের উল্লাস। সৌজন্য ছবি

প্রথমার্ধ শেষে স্কোর লাইন সাইফ স্পোর্টিং ৩-০ চট্টগ্রাম আবাহনী। অথচ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে থাকা আবাহনী স্ট্রাইকার লিওনেলের বদলি হিসেবে মাঠে পাঠাল সেন্টারব্যাক মুফতাল আওয়ালকে। কোথায় ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করবে, উল্টো নিজেদের গোলে তালা মারার ব্যবস্থা। আবাহনী কোচের দোষ নেই, প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করে যেভাবে ‘দাদাগিরি’ শুরু করেছিলেন ইংলিশ স্ট্রাইকার চার্লি শেরিংহাম! দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ৩-০ ব্যবধানেই হয় শেষ।

শেরিংহাম ছাড়া অন্য গোলটি মোহাম্মদ ইব্রাহিমের। ইংল্যান্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক তারকা স্ট্রাইকার টেডি শেরিংহামের ছেলে চার্লি শেরিংহাম। বাবার ধারে কাছে যেতে না পারলেও অভিজ্ঞতা আছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব বোর্নমাউথে খেলার। ঢাকার মাঠে অভিষেকটাও হয়েছিল দুর্দান্ত এক গোলে। এরপরে কখনো আলো কখনো অন্ধকার। তবে দ্বিতীয় পর্বে নাম লিখিয়েও ছয় গোল করে সাইফের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনিই।

আজ আট মিনিটের ব্যবধানে করেছেন জোড়া গোল। ২৪ মিনিটে ইব্রাহিমের জোরালো ফ্রি কিকে মাথা লাগিয়ে খুলেছেন গোলের খাতা। আট মিনিট পরে দ্বিতীয় গোলটিও একইভাবে, সেই ইব্রাহিমের ফ্রি কিক থেকে হেডে। দুই গোল করিয়ে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে শেষ গোলটি নিজেই করেছেন ইব্রাহিম। বাম প্রান্ত থেকে মিরাজের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট করলে ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে, ৩-০।

জোড়া গোল ছাড়াও আজ শেরিংহামকে মাঠে দেখা গেছে ক্ষুধার্ত বাঘের মতো। শুরু থেকেই ‌‘চেজ’ করে চট্টগ্রামের রক্ষণভাগকে নিচ থেকে বিল্ড আপ খেলার কোনো সুযোগই তৈরি করতে দেননি। ‘নম্বর নাইন’ হয়েও অনেক সময় দেখা গেছে নিজেদের রক্ষণভাগের একটু উপড়ে এসে বল কেড়ে নিতে।
এএফসি কাপের প্লে অফ ম্যাচের আগে সাইফের এমন দুর্দান্ত রূপ ভালো কিছুর ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ওয়েডসন বা হ্যাম্বার ভ্যালেন্সিয়াকে ছাড়াই এক বিদেশি নিয়ে রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে থাকা চট্টগ্রামকে যেভাবে নাকানিচুবানি খাওয়াল, সেই গতিটা ধরে রাখতে পারলেই হয়।

এই জয়ের ফলে ২১ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে সাইফ। দুই পয়েন্ট বেশি নিয়ে তৃতীয় স্থানে চট্টগ্রাম আবাহনী। আজ তাদের হারে ১ ম্যাচ হাতে রেখে রানার্সআপ নিশ্চিত হয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডির। জামালের পয়েন্ট ৪৭।