কাঁপছে যেসব রেকর্ড

রেকর্ড তো প্রতিবছরই হয়। এ আর নতুন কী! নতুন হলো রেকর্ডগুলোর ধরন। ২০১৮ সালেও বিশ্ব ফুটবলে কিছু রেকর্ড আছে নতুন করে গড়ার অপেক্ষায়

১৯১
জার্মান লিগে বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল ক্লদিও পিজারোর। ৩৯ বছর বয়সী পেরুভিয়ান স্ট্রাইকার এখনো বুন্দেসলিগাতেই খেলছেন, কোলোনে। তবে গত মার্চের পর আর গোল পাননি। তাঁর রেকর্ড ভাঙতে উসাইন বোল্টের গতিতে ধেয়ে আসছেন এক পোলিশ স্ট্রাইকার-রবার্ট লেভানডফস্কি। বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও বায়ার্ন মিউনিখে সাত বছরে তাঁর গোল ১৬৬টি। আরেকটা রেকর্ডেও দ্বিতীয় ‘লেভা’-ম্যাচপ্রতি গোলের হিসাবে (০.৬৮)। যে তালিকায় এখনো সবাইকে ছাড়িয়ে আছেন এক কিংবদন্তি-জার্ড মুলার (০.৮৫)।


নিজেই জানিয়েছেন, এটাই সম্ভবত তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ মৌসুম। তাতে জুভেন্টাসের হয়ে সিরি ‘আ’ জিতলেই রেকর্ড গড়ে ফেলবেন জিয়ানলুইজি বুফন। সবচেয়ে বেশি ৯টি সিরি ‘আ’ জয়ের রেকর্ড। সর্বোচ্চ ৮টি সিরি ‘আ’র রেকর্ডটা এখন ভার্জিনিও রোসেত্তা, জিওভান্নি ফেরারি ও জিউসেপ্পে ফুরিনোর সঙ্গে ভাগাভাগি করছেন ‘জিজি’। লিগে বাকি ১৮ ম্যাচের সবগুলোয় খেললে ইতালিয়ান লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৬৪৭) খেলার রেকর্ডটা ছুঁয়ে ফেলবেন বুফন, যেটি এখন এসি মিলান কিংবদন্তি পাওলো মালদিনির।

১০০
স্প্যানিশ লিগে দুবার পয়েন্টের ‘সেঞ্চুরি’ করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কোনো দল। ২০১১-১২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ, পরের মৌসুমে বার্সেলোনা। এবার শতক ছাড়িয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা আছে বার্সার। ১৮ ম্যাচেই ৪৮ পয়েন্ট হয়ে গেছে, ম্যাচপ্রতি ২.৬৭। বাকি কাজটা তো ‘সহজ’ই, অন্তত অঙ্কের হিসাবে। ১০১ পয়েন্ট পেতে বাকি ২০ ম্যাচে লাগবে ৫৩ পয়েন্ট, ম্যাচপ্রতি ২.৫৫। লিগে সবচেয়ে কম গোল খাওয়ার রেকর্ডও হাতছানি দিচ্ছে বার্সাকে। ১৯৩১-৩২ মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ গোল খেয়েছিল মাত্র ১৫টি। এবার বার্সা এখন পর্যন্ত গোল খেয়েছে ৭টি।


২০১০, ২০১৪...২০১৮? এবারও পারবেন টমাস মুলার? গত দুই বিশ্বকাপেই ৫টি করে গোল করেছিলেন জার্মান ফরোয়ার্ড, এবারও তা করলে হবেন তিন বিশ্বকাপে ৫টি করে গোল করা প্রথম ফুটবলার। দুটি বিশ্বকাপে ৫ গোল আছে পেরুর তিওফিলো কুবিলাস (১৯৭০, ১৯৭৮) ও জার্মানিরই মিরোস্লাভ ক্লোসারও (২০০২, ২০০৬)।

১৮৪
মেয়েদের ফুটবলে জাতীয় দলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবি ওয়ামবাখের। এই বছরই সেটি ভেঙে যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কানাডার ক্রিস্টিন সিনক্লেয়ারের গোল যে ওয়ামবাখের চেয়ে ১৫টি কম। সম্ভাবনাটা ‘ক্ষীণ’ কেন? ক্রিস্টিনের বয়স এখন ৩৪! এর চেয়ে বরং আরেকটা রেকর্ড ছোঁয়া তাঁর জন্য সহজ। এই বছরে একটা গোল করলেই জাপানের হোমারে সাওয়ার টানা ১৯ বছর ধরে গোল করার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলবেন ক্রিস্টিন।

৬৪ বছর
প্রায় সাড়ে ছয় দশক ধরে ইউরোপীয়দের মধ্যে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটার পাশে লেখা ফেরেঙ্ক পুসকাসের নাম। এ বছর কি হাঙ্গেরিয়ান কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের তা হারানোর পালা? ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যে মাত্র ৬ গোল দূরে দাঁড়িয়ে লোভাতুর দৃষ্টিতে ‘গ্যালোপিং মেজরে’র রেকর্ডটার দিকে তাকিয়ে! ৩২ বছর বয়সী পর্তুগিজ যে রেকর্ডটা ভাঙবেন, তা নিয়ে খুব একটা সংশয় রাখছে না তাঁর অতীত। পর্তুগালের জার্সিতে গত দুই বছরে ২৪ ম্যাচে যে তাঁর ২৪ গোল!

৪৩ বছর ৯ দিন
রাশিয়া বিশ্বকাপেই সম্ভবত অতীত হয়ে যাবে কলম্বিয়ার ফরিদ মনদ্রাগনের রেকর্ডটা। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে যখন বদলি হিসেবে নামছিলেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক, তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর ৯ দিন। ভেঙে গিয়েছিল বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সে মাঠে নামার ২০ বছর পুরোনো রেকর্ড। যেটি ছিল ক্যামেরুন কিংবদন্তি রজার মিলার। আগামী বিশ্বকাপে মিসরের গোলকিপার এসাম এল-হাদারি মাঠে নামলেই রেকর্ডটা হয়ে যাবে তাঁর। উরুগুয়ের সঙ্গে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের দিন হাদারির বয়স হবে ৪৫ বছর ৫ মাস।