কাটারে কাটছে, গতিও বাড়ছে

ভালো বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মুখের হাসিই সব বলে দিচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো
ভালো বোলিং করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, মুখের হাসিই সব বলে দিচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দেওয়া, সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, তামিম ইকবালের অপরাজিত ৮৪—ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতাটা পরিপূর্ণ। এর মধ্যে আরেকটি প্রাপ্তি বেশ স্বস্তি দিচ্ছে ক্রিকেটপ্রেমীদের—মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিং।

মায়াবী কাটারের সঙ্গে বিভ্রান্তি তৈরি করা স্লোয়ার; ধারাবাহিকভাবে একই জায়গায় বোলিং তো ছিলই। তাঁর ১০ ওভারের ৭ ওভার থেকেই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে পারেনি, গতিও বেড়েছে—মুগ্ধতাই ছড়িয়েছে তাঁর বোলিং। গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকায় চোটে পড়ায় সফর অর্ধসমাপ্ত রেখেই চলে আসতে হয়েছিল দেশে। চোট কাটিয়ে বিপিএলে ছয়টি ম্যাচ খেললেও চেনা ছন্দে দেখা যায়নি তাঁকে।

অবশেষে মোস্তাফিজ যে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন, সেটিতে বেশ খুশি বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ রিচার্ড হ্যালসল, ‘এলিট বেসবলের অনেক পিচার (বল নিক্ষেপকারী) একই চোটে পড়ে। পিচাররা ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বল ছুড়তে পারে। কিন্তু (চোট থেকে ফিরে) ৯০ মাইলে পৌঁছাতে তাদের দুই বছর লাগে। মোস্তাফিজের সেখানে ১৮ মাস (২০১৬ সালের জুলাইয়ে কাঁধের চোট) হয়েছে। সে কাটার দিতে পারছে, আগের মতো ঘণ্টায় ৮৫ মাইলে (১৩৬ কিলোমিটার) বোলিং করতে পারছে। প্রতি সপ্তাহে গতি এক মাইল করে বাড়ছে। এটা তার কাটারকে আরও কার্যকর করছে। তার আত্মবিশ্বাস আবার ফিরে আসছে।’

নিজেকে ফিরে পেতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। নিজেকে ফিরে পেতে ফিজের এই চেষ্টা মুগ্ধ করছে হ্যালসলকে, ‘সে তার স্কিল নিয়ে ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। নিজের দক্ষতা ও প্যাশনের প্রতি কাউকে ভীষণ মনোযোগী দেখাটা সবার জন্য অসাধারণ ব্যাপার। নেটে এটা আমরা সাধারণত তামিম ও মুশফিককে করতে দেখি। কিন্তু প্রতিটি অনুশীলনে একজন বোলারের এই চেষ্টাটা উৎসাহব্যঞ্জক।’