বাংলাদেশ দলে '৬০ বছরের অভিজ্ঞতা'

মুশফিকদের মতো অভিজ্ঞরা এভাবেই এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। ছবি: প্রথম আলো
মুশফিকদের মতো অভিজ্ঞরা এভাবেই এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। ছবি: প্রথম আলো

শুধু ত্রিদেশীয় সিরিজ কেন, ওয়ানডেতে অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ দল এখন শীর্ষ তিনেই থাকবে। ১৮৪ ওয়ানডে খেলা মাশরাফি বিন মুর্তজার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ১৭ বছরের। ১২ বছরে সাকিব আল হাসান খেলছেন ১৮২ ওয়ানডে, এই সময়ে মুশফিকুর রহিমের খেলা ওয়ানডে সংখ্যা ১৮১টি। ১১ বছরে তামিম ইকবালের খেলা হয়েছে ১৭৬ ওয়ানডে। মাহমুদউল্লাহ গত ১১ বছরে খেলেছেন ১৫০টি।

বাংলাদেশ দলের পাঁচ সিনিয়র খেলোয়াড়ের সম্মিলিত ক্যারিয়ার ৬৩ বছরের। পাঁচ তারকার সম্মিলিত ওয়ানডে সংখ্যা ৮৭৩। যে দলটায় এমন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের সমাবেশ, সেই দল কেন সফল হবে না? হচ্ছেও, বিশেষ করে ঘরের মাঠে ওয়ানডেতে দুর্দান্ত এক দল বাংলাদেশ।
প্রধান কোচকে ছাড়াই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু মাঠে তাদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝার উপায় নেই দলটা অনেক দিন অভিভাবকবিহীন। দলের সিনিয়র খেলোয়াড়েরা এখানে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ মনে করেন, মাঠে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড়দের, ‘ওরা অনেক অভিজ্ঞ। তাদের ৬০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি, মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতা যদি বলি অনেক বছরের অভিজ্ঞতা তাদের আছে। মাঠে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাদের রয়েছে। সবাই ঢাকা লিগে কিংবা অন্যান্য জায়গায় ঘুরেফিরে অধিনায়কত্ব করেছে। জাতীয় দলেও একই অভিজ্ঞতা রয়েছে সবার।’
অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রাখলেও কোচিং স্টাফেরও একটা দায়িত্ব আছে। সেই দায়িত্বটা কী, সেটি বললেন খালেদ মাহমুদ, ‘মাঠে আমরা পরামর্শ পাঠাই। তারা যদি মনে করে শোনার দরকার, তাহলে শোনে। যদি বার্তা পাঠাই তাহলে একটা সন্দেহ তৈরি করা হবে অধিনায়কের মনে। আমি চাই না ওই সন্দেহ তৈরি হোক। মাশরাফি-সাকিব অনেক অভিজ্ঞ। তারা দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে মাঠে কী হবে। তারা যদি না পারে তাহলে হয়তো বাইরে জিজ্ঞেস করতে পারে। অনেক সময় আমরা ফিল্ডিং পজিশন নিয়ে কথা বলি। অনেক সময় হয়তো ভুলে যায় পরিকল্পনার কথা। আমরা সেটা মনে করিয়ে দিই। আমি মনে করি ম্যাচটা তাদের। ওরা মাঠে গিয়ে খেলে বলেই বাংলাদেশ ভালো করে।’