'ফাস্ট বোলারদের দেশ ভারত? দেরি আছে!'

ফাস্ট বোলারদের দেশ হতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে। ফাইল ছবি
ফাস্ট বোলারদের দেশ হতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে। ফাইল ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভারতীয় পেসাররা দারুণ করছেন। নিউল্যান্ডস ও সেঞ্চুরিয়নে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম দুই টেস্টে ব্যাটসম্যানরা অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করলেও ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি কিংবা ইশান্ত শর্মা ও জাকাত বুমরারা কিন্তু প্রোটিয়া শিবিরে ভীতির সঞ্চারই করেছিলেন। কেবল দক্ষিণ আফ্রিকাতেই নয়, ভারতীয় পেসাররা কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যথেষ্ট ভালো করছেন। এক সময় স্পিনারদের দেশ হিসেবে ক্রিকেট দুনিয়ার পরিচিত ভারত হালে পেসারদের দেশ হয়ে উঠছে কিনা, এমন কথাও কিন্তু উঠেছে। কিন্তু পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার তেমনটি মনে করেন না।

ক্যারিয়ারে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত ছিলেন। ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম ডেলিভারিটি তাঁরই করা। ২২ গজে গোটা ক্যারিয়ারজুড়েই ব্যাটসম্যানদের মধ্য আতঙ্ক ছড়ানো শোয়েবের মতে, ফাস্ট বোলারদের দেশ হয়ে উঠতে এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে ভারতকে।

পেস বোলিংয়ের ‘পঞ্চ-পাণ্ডব’—ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও জাসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে গর্ব করার সুযোগ পেয়েছে ভারত। অনেক বছর পরই। কপিল দেব, জাভাগাল শ্রীনাথ, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ কিংবা ইরফান পাঠানের বাইরে ক্রিকেটপ্রেমীরা যে দেশের পেস বোলারদের একটা তালিকা বানাতেই হিমশিম খাবেন, সেখানে এক সঙ্গে পাঁচজন পেসার জাতীয় দলকে সেবা দিচ্ছেন—ব্যাপারটা নিশ্চয়ই ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য সুখবর। বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও কয়েকজন গতি সম্পন্ন পেসারের দেখা পাওয়া গেছে। আইপিএলেও স্থানীয় পেসাররা ভালো করছেন। ব্যাটিং-উপযোগী স্লথ উইকেটে ভারতীয় পেসারদের ভালো পারফরম্যান্সে ইঙ্গিত মিলছে, ফাস্ট বোলার স্বল্পতার সেই দিনগুলি এখন অতীত।

শোয়েবের ভাবনা একটু ভিন্ন লাইনেই। ভুবনেশ্বর, উমেশ, শামি, ইশান্ত ও বুমরাদের নিয়ে এটাই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পেস বোলিং আক্রমণ—এমনটা একেবারেই ভাবেন না পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার। তবে উন্নতি দেখেন তিনি, ‘এটা ঠিক যে তারা ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। কিন্তু পেস বোলারদের দেশ ভারত এখনো হয়ে উঠতে পারেনি।’

শোয়েব তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন, ‘পাঁচ বছর আগে আমি মনে করেছিলাম মোহাম্মদ শামি, উমেশ যাদব ও বরুণ অ্যারনরা বিদেশের মাটিতে ভারতীয় দলকে সাফল্য এনে দেবে। কিন্তু সেটি হয়নি। বরুণ চোটে জর্জর হয়ে দল থেকে ছিটকে পড়েছে। উমেশ মাঝে-মধ্যে ভালো করে কিন্তু বাকি সময়টা সে ভালো করবে না খারাপ করবে, সেটা বোঝা মুশকিল। অনেকটা পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজের মতো।’

তবে আশার বাণীও শুনিয়েছেন শোয়েব, ‘এই মুহূর্তে ভারতীয় পেসাররা যেভাবে খেলছে সেটা অবশ্যই দুর্দান্ত কিছুরই ইঙ্গিত।’