তামিমেরও খারাপ লাগে...

♦ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তামিমের ৪০ ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি মাত্র ৯টি
♦ ওয়ানডেতেই তামিমের ৯৫ রানের ইনিংস আছে তিনটি! ৮০-এর ঘরের ইনিংস আছে পাঁচটি
♦ কমপক্ষে ৪০টি ফিফটি করেছেন এমন ওপেনারদের মধ্যে কেবল তামিমের সেঞ্চুরি ১০টির কম

ব্যাটে ধারাবাহিক, তবু আক্ষেপ আছে তামিম ইকবালের। ছবি: প্রথম আলো
ব্যাটে ধারাবাহিক, তবু আক্ষেপ আছে তামিম ইকবালের। ছবি: প্রথম আলো

পরিসংখ্যান তামিম ইকবালকে যেমন আত্মবিশ্বাসী করে, আবার সেটিই কখনো কখনো তাঁকে মন খারাপ করিয়ে দেয়। ব্যাপারটা বড় অদ্ভুত!

গত তিন বছর ধারাবাহিক ছন্দে থাকা তামিম এখন দলের নির্ভরতার প্রতীক। এক ম্যাচ ভালো খেলে ১০ ম্যাচ ঘুমিয়ে থাকার ব্যাটসম্যান তিনি নন। ২২ গজে তামিম থাকা মানেই দলীয় স্কোরটা গায়ে-গতরে বড় হয়ে ওঠার নিশ্চয়তা। বাঁ-হাতি ওপেনার ভালো খেললে দলীয় স্কোর বড় হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নিজের ইনিংসটার একটা ভালো পরিণতি পাচ্ছে না।

ভালো পরিণতি বলতে অবশ্যই সেঞ্চুরি। ফিফটি করাটা তামিমের কাছে যতটা অনায়সসাধ্য, সেঞ্চুরি করাটা ততই কঠিন হচ্ছে। গত জুনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৮ রান করেছিলেন। পরে ছয় ইনিংসের চারটিতেই করলেন ফিফটি। সেঞ্চুরি পাননি একটিতেও।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৪০ ফিফটির বিপরীতে সেঞ্চুরি মাত্র ৯টি। ওয়ানডেতেই তামিমের ৯৫ রানের ইনিংস আছে তিনটি! ৮০-এর ঘরের ইনিংস আছে পাঁচটি। এগুলো সেঞ্চুরিতে নিয়ে যাওয়ার আফসোস নিশ্চয়ই তাঁকে পোড়ায়। তামিমকে পোড়ায় ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তরের হার ১৮.৩৬ শতাংশ দেখেও।

আজ সংবাদ সম্মেলনে তামিম নিজেও বললেন, ১১ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এখনো সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্ক না ছোঁয়ায় তাঁর খারাপই লাগে, ‘সত্যি কথা, মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। আমার আরও অনেক সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল। সেঞ্চুরির সংখ্যা দুই অঙ্কে যত দ্রুত নেওয়া যায়, সেই লক্ষ্য থাকবে। দুই অঙ্ক দেখতেও ভালো লাগে, শুনতেও ভালো লাগে। ১৭০টির বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। ৪০টা ফিফটি করেছি। এটা চিন্তা করলে হতাশাজনক, আমার আরও সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল।’

পেছনের ভুলগুলো ফুল হবে, বেশির ভাগ ফিফটি সেঞ্চুরিতে রূপ পাবে, সংবাদ সম্মেলন শেষে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে এ আশাটাই দিয়ে গেলেন তামিম ইকবাল।